লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলোকোট ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৪৪ মাসে ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ নয়-ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। ১১মে (সোমবার) দুপুরে ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের ১১জন মেম্বার উন্নয়নের ওই ৩ কোটি টাকার হিসেব চেয়ে ইউপি সচিবের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত আবেদন করেন।
৯নং ভোলাকোট ইউপি সদস্য কামাল হোসেন চৌধুরী,সফিকুল ইসলাম,কাঊসার আলম,বেলায়েত হোসেন,জাকির হোসেন,হারুনুর রশিদ,নাছরিন আক্তার,তোফাজ্জল হোসেন,মোঃ মহসিন,আরিফ হোসেন ও মায়া বেগম লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বশির আহম্মেদ মানিক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত ৪৪ মাস যাবত ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের কোন উন্নয়ন কমিটি বা বরাদ্ধের কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নিয়ে কোন সদস্য কথা বললে চেয়ারম্যান মেম্বারদের পদে পদে একাধিকবার অপমানিত ও লাঞ্চিত করার মাধ্যমে জোরপূর্বক মেম্বারদের খালি নোটিস বই ও রেজুলেশ খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে নামে বেনামে প্রকল্প অনুমোধন করা হয়। বিগত ৪৪ মাসে নাম্বার প্লেট বাবত ১৫ লক্ষ,হোল্ডিং ট্যাক্স বাবত ৩০ লক্ষ,এডিপির ১৫ লক্ষ,টিআর/কাবিখা/কাবিটার ২৫ লক্ষ,সোলার প্যানেল ২৫ লক্ষ,ট্রেড লাইসেন্স ২৫ লক্ষ,জম্ম-মৃত্যু এবং ওয়ারিশ সনদ ২০ লক্ষ,ওয়ান পার্সন ৪০ লক্ষ,এলজিএসপি প্রকল্পের ৭০ লক্ষ,চল্লিশ দিনের কর্মসূচি ৪০ লক্ষ, গভীর নলকুপ ১০ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন বয়স্ক, বিধাব, প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বভাতাসহ কোন গ্রামে কতোজনকে ও কারা তালিকা দিয়েছে,কোথাই কি প্রকল্পের কাজ হয়েছে সংশিষ্ট এলাকার কোন মেম্বরগন তা মোটেও জানেন না বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে মেম্বার কামাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ইউপি পরিষদের ১১ মেম্বার লিখিত ভাবে সচিবের মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে দিয়েছি। পাশাপাশি অনুলিপি স্থানীয় এমপি মহোদয়,চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক,রামগঞ্জ উপজেলা চেয়াম্যান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি)কে অবহিত করা হয়েছে।
ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিক জানান, সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এজন্য একটি কুচক্রী মহল ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার পরিষদের মেম্বারদের ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তবে ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে আমি ঢাকায় থাকার কারণে একটু ব্যাস্ত আছি। তবে উন্নয়ন বরাদ্ধের হিসাব মেম্বারদের যে কোন সময় দেওয়া যাবে।