করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধকল্পে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা প্রশাসন গত দেড় মাসে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৬৫৪ টি মামলা দায়ের করেছেন। এতে সরকারি রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় সোয়া ৮ লক্ষ টাকা।
জানাযায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে ১ মার্চ হতে ১১ মে পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৯৪ টি মোবাইল কোর্টে ৬৫৪ টি মামলায় অর্থদন্ড ৬৫৩ জনকে ও ১ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদন্ডে ৮ লক্ষ ২৩হাজার ৯শ টাকা ১৮৬০ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন ২০১৮, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ বিভিন্ন ধারায় এই মামলা গুলো দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিয়াকত আলী সেখ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব জামশেদ আলাম রানা মোবাইল কোর্টগুলি পরিচালনা করেন। এ সময় শেরপুর থানা-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম-পুলিশ শেরপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সংগঠন পুশাস এর সদস্যগণ সহায়তা করে। হোম কোয়ারান্টাইন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা, সর্বোপরি, করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে সরকারের বিধি-নিষেধ কার্যকর করার স্বার্থে ওই অভিযানগুলি পরিচালনা করেন।
এ প্রসঙ্গে সহকারি কমিশনার (ভূমি) জামশেদ আলাম রানা বলেন, বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা এবং সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করছি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দোকানদারকে পুনরায় সতর্ক করা ও মালিক সমিতির সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। না মানলে কঠোর অবস্থানে যাবেন উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখের সাথে কথা বললে তিনি জানান, করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধকল্পে জারা সরকারি নির্দেশনা মানবেনা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।