মুলাদীতে নাজিরপুর ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীরা বাধা প্রদান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান ও তার লোকজন ওই ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণে বাধা প্রদান করছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসানাত জাপান মামলা দায়ের করেছেন। ত্রাণ বিতরণ বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় নাজিরপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারগুলো করোনা দুর্যোগে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসানাত জাপান জানান তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান করে আসছেন। করোনা দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বাদল খান ও তার লোকজন বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং সাধারণ জেলেদের চাল নিতে নিষেধ করে। আ.লীগ নেতাদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেরা গত ৭ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাল নিতে গেলে বাদল খানের নেতৃত্বে শুভ খান, সোহাগ খান, বাদল সিকদারসহ ১৪/১৫জন লোক দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন ও জেলেদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় চরনাজিরপুর গ্রামের লিটন সরদার, স্বপন সিকদার, ভ্যান চালক নজরুল সিকদার, সুজন বেপারী, কয়েলি এমদাদুল সিকদার আহত হয়। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসানাত জাপান বাদী হয়ে ৭ মে রাতে বাদল খানসহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে ১৪জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান ইউপি চেয়ারম্যানের মামলাটির বিষয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান জেলেদের চাল দেওয়ার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানী করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস জানান নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে ত্রাণ বিতরনের সময় হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।