পঞ্চগড়ে আরও ৪ জনের করোনা সংক্রমণের পজিটিভ ফলাফল এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ জনে দাঁড়ালো। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সরকার জন-সাধারণকে কৌশলে ঘরে রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু একশ্রেণির মানুষ সরকারের এই নির্দেশনা অমান্য করে ইচ্ছে মতো চলাফেরা করেই যাচ্ছে। তাদের কারণে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন সহ আইন-শৃংখলা রাহিনীকে বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি পরতে হচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সরকার দেশে অঘোষিত লকডাউন ঘোষনা করে। এরই মাঝে পঞ্চগড়ে গত ১৭ ই মার্চ একজন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ রিপোর্ট এলে ১৮ মার্চ থেকে পঞ্চগড়কে লকডাউন ঘোষনা করে জেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে পঞ্চগড়ে আরও ৪ জনের করোনা সংক্রমণ পজিটিভ ফলাফল এসেছে। পঞ্চগড়ে কর্মরত এক পুলিশ সহ মোট ১৯ জনের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন। এরমধ্যে তেঁতুলিয়া উপজেলায় ০৫ জন, বোদা উপজেলায় ০২ জন, দেবীগঞ্জে ০৭ জন ও সদর উপজেলায় ০৫ জন রোগী রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পঞ্চগড় শহরে দিন দিন মানুষের ভীর বেড়েই চলেছে। লকডাউন চলাকালীন সময়েও কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দোকান, কাপরের দোকানসহ প্রায় সব ধরনের দোকানপাট খোলা হচ্ছে সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এ সময়ে কেনা-কাটায় ব্যস্ত হয়ে এক শ্রেণির মানুষ সামাজিক দুরত্ব মানছেন না। বাজারের বিভিন্ন দোকানপাটে দেখা যায় উপচে পড়া ভীর।এতে অনেকেই গা ভাসিয়ে চললেও আতঙ্কিত হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছেন অনেকেই।
লকডাউন না মেনে রাস্তায় আসা কর্মজীবী অনেকেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলছেন। আর স্থানীয় সচেতন মহল এই লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শুক্রবার জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে জেলায় ২০৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইন ও ২২ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন। এবং আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫ জন।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তেঁতুলিয়ার ০৪ জন, বোদার ০১ জন ও দেবীগঞ্জের ০২ জন ইতোমধ্যে করোনা মুক্ত হয়েছেন।