শেরপুর শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে শাপলা চত্ত্বরের পানির ফোয়ারায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত ইজিবাইক চালক খোকন মিয়ার (২৬) পরিবারের পাশে দাঁড়ালো শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের নির্দেশনায় শনিবার (১৬ মে) শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার খোকনের বাড়িতে যান। এ সময় ওই পরিবারে হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া, চলমান মানবিক সহায়তা কর্মসূচীতে অর্ন্তভূক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গড়জরিপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। খোকন মিয়া উপজেলার গড়জড়িপা ইউনিয়নের গোপালখিলা গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ মে) খোকন মিয়া ইজিবাইক নিয়ে শেরপুর শহেরর খোয়ারপাড় শাপলা চত্ত্বর এলাকায় যাত্রী পরিবহন করে ভাড়া মারতে যায়। স্থানীয়রা জানায় করোনা ভাইরাস জনিত কারণে লকডাউন থাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু কিছু ইজিবাইকের পেছনের সিট খুলে রেখে দিচ্ছিল। এনময় খোকন মিয়ার ইজিবাইকের সিট খোলে শাপালা চত্তরের পানির ফোয়ারায় ফেলে দেয়। পানির ফোয়ারা থেকে ইজিবাইকের সিট তুলতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয় খোকন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ডিবি পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা খোকনকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারানোয় নিহতের পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব স্যারের নির্দেশনায় শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত খোকনের বাবার হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকার কর্তৃক চলমান মানবিক সহায়তার আওতায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসন ওই পরিবারে পাশে থাকবে।