আবারো নোয়াখালীর সেনবাগে আবু নাছের নামের আরো এক ব্যাংক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার বাড়ি সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের পাঁচানী বাড়ির মোঃ রফিক উল্লাহ ছেলে।আবু নাছেন বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর পূর্বালী ব্যাংক গোলাবাড়িয়া শাখায় ক্যাশিয়ারের দায়ীত্বে ছিলেন। গত ১০ মে রোববার অসুস্থ হয়ে ফেনীতে ডাক্তার আইয়ুব আলীর চেম্বার চিকিৎসা নেন তিনি। সেখান থেকে ফেনীতে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সরবরাহ করেন। এরপর শনিবার (১৬ মে) রাতে ফেনীতে তার করোনার পরীক্ষার ফলাফল প্রজেটিভ আসে। এরপর রোববার ১৭ মে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মতিউর রহমান ও থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ওই বাড়িতে গিয়ে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয় এবং বাঁশ দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে পুরো বাড়ি লকড-ডাউন ঘোষনা করেন।
উল্লেখ্য এরআগে গত ১০ মে সেনবাগে ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের সফিউর রহমান (৫৬) নামের জনতা ব্যাংক এক স্টাফ গার্ডের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়। সফিউর রহমানের বাড়ি সেনবাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের দাসুয়া বাড়ির আসলাম মিয়ার ছেলে। তিনি বেগমগঞ্জের চৌমুহনী জনতা ব্যাংকে কর্মরত থাকা অবস্থায় করোনার উপসর্গ জ্বর,শর্দি,কাশি ও গলা ব্যাথা হলে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করেন। এরপর মঙ্গলবার (১২ মে ) তার করোনার পরীক্ষায় ফলাফল প্রজেটিভ আসলে। এইনিয়ে সেনবাগে সর্ব মোট ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে আলী আক্কাস নামে একজন মৃত্যু বরণ করেছে।
পরবর্তীতে নাছের সংস্পশে আসা সদস্যদেও করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্র করা হবে জানান,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মতিউর রহমান।