খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় অবিতরণকৃত ৭৫বস্তা ভিজিডি’র চাল জব্দ করা হয়েছে। ১৮ মে সোমবার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে গিয়ে ৩০ কেজি ওজনের ৭৫বস্তা চাল জব্দ করে সীল-গালা করে দেন।
খবরে প্রকাশ, লক্ষ্মীছড়ি জোনের সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে গোপন তথ্য আসে ১নং লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ হতে গোপনে চাল পাচার হচ্ছে। বিষয়টি সাংবাদিরা জানার পর ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গিয়ে এমন সত্যতা পেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। ইউএনও তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে হাতে-নাতে পাচারকালে ২বস্তা চাল এবং ১৬টি কার্ড জব্দ করাসহ ৭৫বস্তা চাল সীল-গালা করে দেন। আরো ১৭৪টি কার্ড অবিতরণ রয়ে গেছে বলে ইউএনও’র তদন্তে বেরিয়ে আসে।
এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা বলেন, ইউএনও’র নির্দেশে প্রকৃত কার্ডধারী না আসায় বিতরণ করা সম্ভব হয় নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল জানান, ঘটনাটি জানার সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করি এবং ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়ার পর ৭৫বস্তা চাল জব্দ করে কক্ষটি সীল-গালা করে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য গত কিছ দিন ধরে লক্ষ্মীছড়ি ইাউনিয়ন পরিষদ হতে চাল বাহিরে পাচার হচ্ছে এমন তথ্য আসলেও কোনোভাবেই ধরা যাচ্ছিল না। রোববার লেবারের মাধ্যমে চাল পাচার করা হয়। সোমবার একই কায়দায় অত্যন্ত গোপনে এক বস্তা, এক বস্তা করে লেবারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছিল। সেনা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমেই সরেজমিনে গিয়ে ইউপিি সচিব কমল কষ্ণৃ চাকমাকে জিগ্যোস করলেও সম্পূর্ন অস্বীকার করেন। এরপর চলে তথ্য উদঘাটন কাজ। এতেই বেরিয়ে আসে চাল পাচারের রহস্য।
লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে মোট ৭৪০টি কার্ড রয়েছে। প্রতিজনে ৩০ কেজি হারে বিনামূূল্যে এ চাল উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ইউনিয়ন পরিষদে অবিতরণ রয়েছে এবং এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা ইউপি সচিবকে হাত করে গোপনে পাচার করে আসছিল।