ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেল থেকে গলাচিপা উপজেলায় মৃদু বাতাস ও থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোনা ভাইরাস এর কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে দুর্গত এলাকার জন সাধারণকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ উপজেলায় দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য ১১৭ টি সাইক্লোন শেল্টার ও ইউনিয়ন পরিদষ ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও এলাকার বহুতল ভবন গুলো যাতে মানুষ আশ্রয় নিতে পারে সে ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য মোট ১৩ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাক্লোন শেল্টারে আশ্রিতদের জন্য ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলার পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়নে সিপিপির ২ হাজার ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়াও প্রতিটি সাই ক্লোন শেল্টারে আশ্রিতদের জন্য জরুরী শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলে ও মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে বলা হয়েছে। যদিও সকল জেলে এখন পর্যন্ত তীরে এসে পৌঁছায়নি।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে গলাচিপা উপজেলার বেশি ঝূঁকিপূর্ণ চর বিশ্বাস ও চর কাজল ইউনিয়ন। এর মধ্যে চরবাংলা, ধলার চর ও চরকারফারমার মানুষ বেশি ঝূঁকিতে রয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রিতদের জন্য ইফতার ও সেহরির খাবার সবরাহ করা হচ্ছে।’