ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ঘূর্নিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাড়ে ৩শত ঘরসহ ২১ কি.মি কাঁচা রাস্তার আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পুকুর-ঘেরের মাছসহ ফসলি জমিরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘূর্নিঝড় আম্পান গতকাল রাতভর তান্ডব চালিয়ে এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। আজ সকালের দিকে ঘূর্নঝড় আম্পানস্থল নিম্মচাপে পরিনত হয়ে আরো উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেছে। এছাড়া মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ যেসব এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও ৯ নম্বর বিপদ সংকেত ছিল, সেটি তুলে ফেলা হয়েছে। তার পরিবর্তে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
ঘূর্নিঝড় আম্পান দূর্বল হয়ে গেলেও তার তান্ডব ছড়ানো ক্ষত চিহ্ন রয়ে গেছে। তবে বড় ধরনের আশংকা থাকলেও দ্বীপ উপজেলায় ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা ততটা বেশী নয়।
উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ঘূর্নিঝড় আম্পানের প্রভাবে ২১ কি.মি কাঁচা রাস্তাসহ ৩শত ৫১টি ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে ১টি ঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৩০ হেক্টর ফসলি জমি এবং ৫০ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়েছে। ১টি চিংড়ির ঘেরসহ ১৭৭টি পুকুরের মাছ চলে গেছে। এছাড়া ২১টি গরু-মহিষ, ৩২টি ছাগল-ভেড়া এবং ৪৪টি হাঁস-মুরগির ক্ষতি হয়েছে। আজ দুপুরে মুঠোফোনে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, আমরা দ্রুত তালিকা প্রস্তুত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছি। এ সংক্রান্ত কোন বরাদ্ধ পেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরন করবো।