মোল্লাহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বাদশা সরদার(৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মে) বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি রহমত পাড়া এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধায় বাদশা সরদার মারা যায়।
নিহত বাদশা সরদার গাংনি রহমত পাড়া এলাকার সালেক সরদারের ছেলে।
জাকির গ্রুপের আহতরা হলেন, ইসমাইল খান(১৮), হাবিব মল্লিক (২০), আলমগীর সরদার (৫০), বাচ্চু মল্লিক (৩৫), আলমগীর শেখ (৪০), ওয়াহিদ সরদার (৫৫), সাইফুল ইসলাম (১৫), আব্দুল্লাহ শিকদার (২৬), রমজান (২৫) ও রিয়াজ মোল্লা (২০)সহ কয়েক জন।
শহিদুল ইসলাম গ্রুপের আহতরা হলেন, সবেদ আলী (৩৫), আবেদ আলী (৩৮), রনি হাসান (৩৯), মিঠু শেখ (৪০) ও তার স্ত্রী, ছেলেসহ কয়েক জন। আহতদের মোল্লাহাট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঈদের দিন সকালে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে জসীম নামক এক যুবকের সাথে বেলুন উড়ানোর সময় আরো কয়েকজন জড়ো হয়। এ সময় জসীম কয়েকটি ছেলেকে মারধর করে। পরে এই খবর পেয়ে জাকিরের লোকজন এসে জসীমকে মারধর করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার জেরে পরদিন শহীদুল এর গ্রুপের লোকজন পাল্টা জাকির গ্রুপের মিজানুর রহমানকে মারধর করলে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর একই দিনে শহিদুলের গ্রুপের মনজুর শেখের জামাতা জনৈক আলমগীর ফকিরকে মারপিট করে জাকির গ্রুপের লোক জন। কয়েক দফা হামলা ও প্রতি হামলার ঘটনায় এলাকায় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। বুধবার বিকেলে জাকির গ্রুপের বাদশা সরদার বাজার করে ফেরার পথে হামলার শিকার হণ। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাল শড়কিসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নিহত বাদশা সরদারের বড়ভাই ফিরাঙ্গী সরদার বলেন, বাদশা সরদার বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় মিঠু শেখ এর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি অস্ত্রধারী দল তার ওপর হামলা চালায়। বাদশা সরদাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম কবির বলেন, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাদশা সরদার নামের একজন নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। ফের সংর্ঘষের আশংকায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।