ভোলার মনপুরায় হঠাৎ ঝড়ে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে ঘরবাড়ীসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিধ্বস্ত ঘরগুলো সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন ইউএনও।
বুধবার রাত ১০ টায় হঠাৎ ঘূর্ণীঝড়ে লন্ডভন্ড করে দেয় উপজেলার শতাধিক ঘরবাড়ীসহ দোকানপাট। অসংখ্য গাছপালা ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজির হাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ব্যাটারী ব্যবসায়ী জামাল, মোঃ ফরিদ, মোঃ সবু মাঝি, ৬নং ওয়ার্ডের মোঃ জহির মাঝির সম্পুর্ন টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। টিনের চাল ও বেড়াগুলো সম্পুর্ন ভেঙ্গে ধুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল মালামাল বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। সকল মালামালগুলো এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে। খোলা আকাশের নিচে কোন রকম দিনাতিপাত করছেন বিধ্বস্ত ঘরবাড়ীর লোকজন। এছাড়াও রানী বিবি, মফিজ মাঝি, নুরুউদ্দিনসহ শতাধিক ঘরবাড়ীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দাসের হাটের নুরমোহাম্মদ ও বাবুল মাঝির মাছের আড়তের দোকান ভেঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ১নং মনপুরা ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন কলাতলী ও কাজীরচরেও ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন ও দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়নে হঠাত ঝড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ীর আংশিক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঝড়ে ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিধ্বস্ত বাড়ীগুলো পরিদর্শন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দ্বিপক, উপজেলা আ.লীগ প্রচার সম্পাদক মোঃ ছালাহউদ্দিন’সহ সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার ও গনমাধ্যম কর্মীরা।
এব্যাপারে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দ্বিপক জানান, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ ঘূর্ণীঝড়ে ঝড়ে ঘরবাড়ীর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ী ঝড়ে সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয় খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট মেম্বারদের বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করে তার সাথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাড়ীঘর পরিদর্শন করেছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্রদাস বলেন, হঠাৎ ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিধ্বস্ত ঘরবাড়ীগুলো সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলাপ করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাউল দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছি। সম্পুর্ন বিধ্বস্ত ঘরগুলোর জন্য নগদ টাকা ও টিনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এইসব টিন ও নগদ টাকা দ্রুত বিতরন করা হবে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সম্পুর্ন বিধ্বস্ত ও আংশিক ক্ষগ্রিস্ত ঘরগুলোর তালিকা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।