পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা যুবলীগের সদস্য নিহত তাপস দাস (২৯) হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। আজ ২৯মে শুক্রবার বিকাল ৫টায় বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা বাউফল পৌর এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় জনতা ভবন থেকেশুরু করে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ইলিশ চত্বর ও তাপস স্কয়ারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মোতালেব হাওলাদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বাউফল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক, সাধারন সম্পাদক এনায়েত খান সানা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ প্রমুখ। বক্তারা বলেন- মেয়র জুয়েল যুবলীগ নেতা তাপসকে খুন করার নির্দেশ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবী করা নির্লজ্জতা ও তাপসের রক্তের সাথে প্রতারনার শামীল। নেতৃবৃন্ধ উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত না হয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে তাপস হত্যার বিচারকার্যে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। বক্তারা তাপস হত্যার মূল আসামী মেয়র জুয়েল সহ সকল আসামীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করার দাবী জানান। অন্যথায় উপজেলা জুড়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে হুমকি দেন।
উল্ল্যেখ গত রবিবার ২৪ মে দুপুর দুইটার দিকে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (২৯)কে ধারালো অ¯্ররে আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ১৫ নেতা কর্মী। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামের আরেক যুবলীগ কর্মীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিনই রাত সারে সাতটায় তাপসের মৃত্যু হয়।