ঝালকাঠি জেলা বাস টার্মিনাল থেকে দীর্ঘ ৬৬ দিন পর রোববার সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু করেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি বাসে দুই সিটের স্থালে একজন করে বসানো হচেছ। অর্থাৎ মোট ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করছে। পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় ৫/৭জন যাত্রী নিয়েই নিদৃষ্ট সময়েই গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যে। অফিস খোলার দু’দিন হওয়ায় বাস ষ্ট্যান্ডে যাত্রীদের ভীর নেই। কারণ জরুরী কাজে বা অফিস ধরতে আগেই চলে গেছেন গন্তেব্যে। এতে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করেছেন বাস মালিক ও শ্রমিকরা। তারা জানিয়েছে সরকারী বিধি মেনেই গাড়ি চালাচ্ছেন তারা। কিন্তু যাত্রী না থাকায় তাদের কর্মচারী বেতন, লাইন ফি, তেল খরচ উঠছেনা। এমন অবস্থা ছোট পরিবহনেও। অনেক অটো রিক্সায় ২/১ জন নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে গাড়িতে পর্যাপ্ত সিট থাকা সত্ত্বেও পাশাপাশি সিটে বসতে দেখা গিয়েছে কিছু যাত্রীকে।
সোমবার সকাল ৭ টায় ঝালকাঠি থেকে বরিশালে প্রথম গণপরিবহন চলাচল শুরু করে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক-শ্রমিকরা। বাস চলাচল শুরু হওয়ার পরই মানুষের ভীড় পড়ে যায় কাউন্টারগুলোতে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। সরেজমিনে দুপুরে বাস ষ্ট্যান্ড গিয়ে দেখা গেছে ৮-১০ জন যাত্রী নিয়ে অভ্যান্তরীন রুটে যাত্রী চলাচল করছে। একটি বাসে ৪জন যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
কেবল বরিশাল-ঝালকাঠি রুটেই নয় জেলা থেকে ১৪টি রুটে একযোগে বাসচলা চল শুরু হয়। শুরু হয়েছে দূর-পাল্লার বাস চলাচলও। তবে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সুরক্ষায় নানা ব্যবস্থা।
এছাড়া যাত্রীকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হচ্ছে। পাশাপাশি হাত ধোয়া এবং সেনিটাইজারেরও ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিটি পরিবহণে।
ঝালকাঠি-বরিশাল বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় ৩জন নিয়ে একটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে। কাউন্টার ম্যানেজার বলেন প্রতিটি গাড়ি ছাড়ার সময় ৭০ টাকা করে মালিক সমিতিতে দিতে হয়। শেষ বাসটি কাউন্টার চার্জ দিয়ে ২০ টাকা জমা নিয়ে বাস ছেড়ে গেছেন। এতে গাড়ির খচরও উঠবেনা বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঝালকাঠি-পিরোজপুরসহ দক্ষিনাঞ্চলের অনেক কাউন্টার বন্ধ পাওয়া গেছে। একজন কাউন্টার ম্যানেজার জানান, যাত্রী না থাকায় গাড়িও নেই। তার কাউন্টার বন্ধ না রেখে উপায় কি?
ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির য্গ্মু সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দীন খান জানান, দীর্ঘ দিন করোনার প্রভাবে পরিবহন বন্ধ থাকার পরে লকডাউন ছেড়ে দেওয়ার পরে আশা করেছিলাম যে স্বাভাবিক না হলেও কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠা যাবে। কিন্তু যাত্রী সংকটে মারাত্মক লোকসানের মধ্যে পরথে হচ্ছে আমাদের। ধারন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ থাকলেও যাত্রীরা বড় প্রয়েজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। এ সকম চলতে থাকলে গাড়ি ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।