ঝালকাঠির রাজাপুরের ইসলামিয়া ফার্মেসি ও সোহাগ ক্লিনিকের মালিক আহসান হাবিব সোহাগের বিরুদ্ধে নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি ও হামলা এবং মালার দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে উপজেলা কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্ট সমিতি সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মিলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আবদুস সাত্তার স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য অভিযোগ করা হয়, আহসান হাবিব সোহাগের মালিকানাধীন সদরের সোহাগ ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে ব্যবস্থা পত্রে নিম্নমানের ওষুধ লেখানো এবং তা ইসলামিয়া ফার্মেসিতে বিক্রি করা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি সোহাগ ক্লিনিকের একজন ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর পর থেকে সোহাগ ক্লিনিকে কোন চিকিৎসাক না থাকলেও ক্লিনিকের প্যাডে রোগীদের ব্যাবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। যাতে থাকছে নিম্নমানের ওষুধ। এর প্রতিবাদ করলে ইসলামিয়া ফার্মেসির বিপরীতে থাকা আফজাল ফার্মেসির মালিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ইসলামিয়া ফার্মেসির কর্মচারীরা। আফজাল ফার্মেসির মালিকের ছেলে অপু এর প্রতিবাদ করলে শুক্রবার দুপুরে ইসলামিয়া ফার্মেসির কর্মচারিরা অপুকে মারধর করে। এতে অপু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে আহত অপুর মামা ডেইলি স্টার পত্রিকার ঝালকাঠি প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জুয়েল দেখতে গেলে ও অপুকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে জুয়েলের ওপর হামলা করে সোহাগের পোষ্য ক্যাডার বাহিনী। লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, আহসান হাবিব সোহাগের ক্লিনিকের অনিয়মের বিষয়ে কেউ কথা বললে তার বিরুদ্ধে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডেইলি স্টার পত্রিকার সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আফজার ফার্মেসির মালিকের ছেলেসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সোহাগ। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এদিকে উপজেলা কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্ট সমিতির পক্ষ থেকে মহামারি করোনা উপলক্ষ্যে হতদরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দেওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে ইসলামিয়া ফার্মেসি ও সোহাগ ক্লিনিক পরিচালক আহসান হাবিব সোহাগ দাবি করেন, কয়েক দিন আগে সোহাগ ফার্মেসী কর্তৃক ঔষধের মুল্য কম রাখার ঘোষনা দিলে অন্য ফার্মেসীর লোকজন তার বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবজাল ফার্মেসির লোকজন তার ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে কয়েকজন কর্মচারিকে আহত করে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করেছেন। তার নামে ২টি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সোহাগ।