বাগেরহাটের ফকিরহাটে পাগলা-দেয়াপাড়া দশরাস্তার মোড় সড়কে বৃষ্টি পড়লেই সড়কে হাটু পানি জমে যায়। সড়কটি দেখলে মনে হবে এটি কোন প্রবাহমান খাল। আসলে এটি খাল নয়, মানুষের চলাচলের জন্য গ্রামীণ সড়ক। দীর্ঘ ৫মাস ধরে এই সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
ফকিরহাটের পাগলা দেয়াপাড়া, পিলজংগ ও দশরাস্তার মোড় এলাকা সহ তিনটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-বৃদ্ধ যুবক-যুবতী সহ নানা পেশা ও বয়সের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে এই অনুপোযোগী রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। গ্রামীন মাটির কাচা সড়ক পাকা করণের জন্য ৫মাস আগে কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদার মাটি খুড়ে এভাবে ফেলে রেখেছে মাসের পর মাস। কবে নাগাদ সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে এলাকার মানুষ তা জানেনা।
রাস্তা নির্মানকারি ঠিকাদার শেখ আনিচুর রহমান জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে শ্রমিক সংকট থাকায় কাজটি বন্দ থাকে। তবে দ্রুত কাজ শুরু করবেন বলে আশারবানী শোনালেন তিনি। এদিকে সড়ক নির্মানকারি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর ফকিরহাট উপজেলা প্রকৌশলী এম এম এ বকর জানান, গ্রামীণ মানুষের চলাচলের জন্য ও গ্রামের কৃষিপন্য দ্রুত বাজারজাত করণের জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু করোনার কারনে কাজ বন্দ ছিল। পুনরায় ঠিকাদারকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় রনি হাসান, বিশ্বজিৎ দেবনাথ, রঞ্জন শীল, নাজমুল হোসেন, মাধব শীল শফিকুর রহমান সহ অনেকে জানিয়েছেন, এই সড়কটি পাকাকরণের জন্য মাটি খোড়া হয়। কিন্তু এভাবে ফেলে রাখার কারনে যখন বৃষ্টি হয় তখন হাটু পানি হয়ে যায়। আবার যখন পানি চলে যায় তখন ধু ধু করে বালি উড়ে। এই রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসী উভয় সংকটে আছে। বৃষ্টি হলে স্থানীয়রা রাস্তার পাশে ড্রেন কেটে পানি নিষ্কাশনের পর চলাচল করতে হয়। পানি নিস্কাশণ করার পরও অনেকস্থানে কাদা জমে যায়। ফলে চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে উক্ত সড়কটি চলাচলে উপযোগী করার জন্য উপজেলা প্রশাসন,ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।