লক্ষ্মীপুরে জ্বর সর্দি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রামগতি চর মেহের আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (৫২ বছরের ) মো.কামাল উদ্দিন। সকালে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ দিকে ৩টার দিকে নোয়াখালী সরকাররি হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি। রামগতি থানার ওসি মো.সোলেমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এর আগে এক সপ্তাহ ধরে স্কুল শিক্ষক কামাল উদ্দিন রামগতি পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের নীজ বাড়ীতে করোনা ভাইরাস উপসর্গ জ্বর সর্দিসহ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
তিনি মঙ্গলবার আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে নিকটবর্তী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালে পৌছঁতেই তার মৃত্যু বলে পারিবারিক সূত্রে তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গফফার জানান,করোনা উপসর্গ মৃত স্কুল শিক্ষকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার গত ২৪ ঘন্টায় লক্ষ্মীপুরে নতুন করে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৫জন। আক্রান্তদের মধ্যে কমলনগর থানার একজন এসআই,একজন এএসআইসহ চার পুলিশ সদস্য,দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার কমলনগর উপজেলা প্রতিনিধির পরিবারের পূর্বের একজনের সংক্রমনে আসা একই পরিবারের আরো তিনজন, সদর উপজেলাধীন চন্দ্রগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তাও রয়েছেন। এ নিয়ে সদর মোট ১৪১, কমলনগর ৩৮, রামগঞ্জ ৫৬, রায়পুর ৪৮ এবং রামগতি উপজেলায় ২২জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলায় কোভিড-১৯ এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩০৫জন। আর এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ৫জন। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছেন ২জন। আইসোলেশন থেকে মোট সুস্থ্য হয়েছেন ৭১জন।নতুন একজনসহ বর্তমানে আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছেন ১২জন।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন সরকারী বেসরকারী অফিস,দোকান পাট,হাট বাজার খুলে দেয়ার পর থেকে চলাচলে নৌপথে এবং যানবাহনে কেউ কেউ মানলেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব মানছেননা। এতে কোভিড-১৯ সংক্রমনের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে।
এ ব্যাপারে সরকারকে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে জেলাবাসী মনে করছেন।