এক কিশোরকে বার বার মাটিতে ফেলে মারছেন আশরাফ আলী লালসহ আরো দুই তিনজন। পা দিয়ে মুখ ও গলা চেপে ধরছেন। নিজেকে রক্ষার জন্য বার বার এই কিশোর ওই ব্যবসায়ীর পা চেপে ধরছেন, বাবা বলে ডাকছেন। কিন্তু তাকে বাঁচানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি।
এমনই এক অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর সবার চোখ পড়ে লালমনিরহাটের দিকে। কারণ ঘটনাটি এ জেলা শহরের মিশন রোডে আশরাফ আলী লালের মালিকানাধীন সীমান্ত শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে।
বুধবার (১০ জুন) দুপুরে এ ব্যাপারে ৬জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত কিশোর মমিনুল ইসলাম।
নির্যাতিত কিশোর মমিনুল ইসলাম শহরের চাঁদনীবাজার সরকারী আবাসনের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশরাফ আলী লাল লালমনিরহাটের পরিচিত মুখ। আদিতমারী উপজেলার কুমড়িরহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। এ ছাড়া তিনি জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই তাকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে দুই মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালের দিকে ওই কিশোর আটক করে কয়েকজন। তার বিরুদ্ধে অটোরিকশা থেকে তেলের একটি জারিকেন চুরির অভিযোগ তোলা হয়। পরে তাকে আশরাফ আলীর হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনিসহ কয়েকজন মধ্যযুগীয় কায়দায় কিশোরটিকে নির্যাতন শুরু করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় আশরাফ আলী লালসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার কিশোরকেও খুঁজে পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ওই কিশোর বাদী হয়ে ৬জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে পর আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।