সরাইলে পুলিশ এ্যাসল মামলার আসামি ওমর আলীকে (৪৬) গ্রেপ্তার করে অরূয়াইল ফাঁড়ির পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর দু’তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছে ওমর। দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা কালে আবার জনতার হাটে আটক হয়। স্বজনদের দাবী ওমর গুরূতর আহত হয়েছে। আর পুলিশ বলছেন আহতের পরিমাণ সামান্য। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে অরূয়াইলে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অরূয়াইল ইউনিয়নের রাণীদিয়া গ্রামের মবত আলীর ছেলে ওমর। সম্প্রতি গ্রামে ঘটে যাওয়া দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পর পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। ওমর সেই মামলার আসামী। গতকাল সকাল ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অরূয়াইল বাজার থেকে ওমর আলীকে গ্রেপ্তার করে ফাঁড়ির পুলিশ। পরে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে হ্যান্ডকাপ লাগানোর সময় পালানোর উদ্যেশ্যে লাফ দেয়। নীচে পড়ে বাম পায়ে আঘাত পায়। দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বাজারের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ওমরের স্বজনরা আঘাতকে গুরূতর বললেও পুলিশ বলছেন সামান্য। পরে ওমরকে চিকিৎসার জন্য সরাইল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সরাইল থানার এস আই শাহাদাত হোসেন দ্বিতীয় তলার রেলিং টপকিয়ে নীচে পড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আল্লাহর রহমতে ওমর বড় ধরণের আঘাত পায়নি। চিকিৎসা করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। প্রসঙ্গত: গত ১৪ মে রাণীদিয়া গ্রামে বড় গোষ্ঠীর সাথে বেড়াবেড়ি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্যান্য গোষ্ঠীও যোগ দেয়। এ দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১২৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।