বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা নেয়া হলেও নিয়মিত পরীক্ষা না হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত চারদিন যাবত এ উপজেলায় সংগৃহীত নমুনার কোন ফল না আসায় এই আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর মন্তব্য যদি নমুনা সংগ্রহ করে দিনের পর দিন হাসপাতালের ল্যাবে ফেলে রাখা হয় আর নমুনা প্রদানকারীরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে তাহলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫১৯ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ৭ জুন পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৩৮০টির। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৪৩জন। এখনো ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষার জন্য বগুড়া শজিমেক আরটিপিসিআর ল্যাবে রয়েছে।
গত চারদিন যাবত শেরপুর উপজেলার নমুনা পরীক্ষার করে কোন ফলাফল না আসায় নতুন করে পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ রোগী শনাক্ত হচ্ছে না। ফলে সচেতন মহলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাদের ভাষ্য, একজন ব্যক্তি নমুনা দেওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া প্রয়োজন। কেননা, সে যদি বাইরে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করেন এবং তার রিপোর্ট কয়েকদিন যাবার পর পজেটিভ আসে তাহলে কি অবস্থা দাঁড়াবে? এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা নজর দিবেন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, আবদুল কদের বলেন, নমুনা পরীক্ষার মেশিন একটা হওয়ায় এবং অতিরিক্ত নমুনা পাঠানোর কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।