লালমনিরহাটে করোনায় মৃত্যুর খাতায় এই প্রথম যুক্ত হলো কেরামত আলীর(৪৮) নামে একজন। করোনায় উপসর্গ নিয়ে মৃতের নমুনা রিপোর্টে পজেটিভ আসায় ৬দিন পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়াা যায়।
রোববার (১৪ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।
মৃত কেরামত আলী লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। তিনি এলকো ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে বান্দরবানে কর্মরত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, বান্দরবানে কর্মরত থাকা অবস্থায় গত ৬জুন নিজ বাড়িতে ফিরেন কোরবান আলী। পরদিন সর্দ্দি জ্বর নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবার রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাধারন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মঙ্গলবার(০৯ জুন) মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ওই দিনই হাতীবান্ধা উপজেলা মেডিক্যাল টিম মৃত কেরামত আলীর নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।
শনিবার(১৩ জুন) রাতে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে লালমনিরহাট জেলায় করোনা ভাইরাসে প্রথম কোন ব্যাক্তির মৃত্যু ঘটলো।
এখন পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভায় মোট ৬১ জনের করোনা সনাক্ত হয়। যার মধ্যে ৩১জন সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও ৩০জনকে আইসলোশনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানান সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।