জরূরী বিভাগ ও অন্ত:বিভাগের ৬ জন সহ মোট ৭ জনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবারও চুরি হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে নীচ তলার অফিস কক্ষ ও কম্পিউটার কক্ষে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে মোটরবাইক, ল্যাপটপ ও সিপিও না নিয়ে শুধু ফাইলপত্র টানা টানি করেছে। তাই জুন মাসে চুরির এই ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। হাসপাতালের ইউএইচও ডা: মো.নোমান মিয়া বাদী হয়ে এ ঘটনায় সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিকিউরিটি ক্লাক্সিবল গেইটের তালা ঠিকঠাক রেখে শুধু ভেতরের একটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে গত বছরও হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সে যাত্রায় অবশ্য দুটি কম্পিউটার সহ কিছু মূল্যবান মালামাল নিয়েছিল। ওই সময়েও প্রশ্ন ওঠেছিল বাহিরের সব গেইটে তালা রেখে চুরেরা ভেতরে গেল কিভাবে? হাসপাতালের ভেতরের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথাও ওঠেছিল। সাধারণ ডায়েরিও হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ সেই ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি। এক বছর পর আবারও একই ঘটনা। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে হাসপাতালের নীচ তলার অফিস কক্ষের পেছনের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে চুর। অফিস ও কম্পিউটার কক্ষের আলমিরা ভেঙ্গে ফাইল ও বিভিন্ন কাগজপত্র উলটপালট করে ফেলে। সম্ভবত: কিছু ডকুমেন্ট নিয়েও গেছে। চুরেরা মূল্যবান কম্পিউটার নেয়নি। কম্পিউটার কক্ষের পাশের কক্ষেই রাতে রোষ্টার ডিউটি করেছেন মেডিকেল কর্মকর্তা ডা: লিটন কর্মকার। ওই রাতে হাসপাতালের জরূরী বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন ডা: লিটন কর্মকার, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স আমিনুল ইসলাম ও সহকারি সেবক হারূন অর রশীদ। অন্ত:বিভাগে ছিলেন-সিনিয়র ষ্টাফ নার্স রোজিনা, রূমা মোহন্ত ও ওয়ার্ড বয় নেছার মিয়া। আর নাইটগার্ড ছিলেন মো. গোলাপ মিয়া। হাসপাতালের জানালা ভেঙ্গে চুরি হল আর দায়িত্বে থাকা দুই বিভাগে কর্মরত ৭ জনের কেউই টের পেলেন না? নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, শুধু জুন জুলাই মাস আসলেই হাসপাতালে চুরি হয়। কম্পিউটার, ফাইল,ডকুমেন্ট ও গুরূত্বপূর্ণ এমসি চুরি হয়। এর কারণ কি? মূলত হাসপাতালের হিসাব-নিকাশে ঝামেলা লাগিয়ে নিজেদের চুরি হালাল করার জন্য কতিপয় ষ্টাফ এ চুরির নাটক করছেন। একবার ঠিকমত বিচার হলে আর কখনো চুরি হবে না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, অফিসে তো নগদ টাকা থাকে না। চুরেরা শুধু ফাইল ও কাগজপত্র নাড়াচাড়া করল। কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে থাকতে পারে। কম্পিউটার নিল না কেন বুঝতে পারলাম না। কে বা কারা একাজটি করেছে বুঝতে পারছি না। থানায় জিডি করেছি।