দুর্গাপুরের লেবার সরদার আলাল এর চতুর্থ স্ত্রী মোছাঃ মনি আক্তার(২৫)প্রধান এর বিরুদ্ধে ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার দাবীতে অভিযোগ করেছেন পুর্বের স্বামী প্রবাসী কাউছার আহাম্মদ কাজল(৩০)এর বড়ভাই মোঃ লাক মিয়া(৫০),গত ৯ জুন ২০২০ ইং দুর্গাপুর থানায় অভিযোগটি দাখিল করা হয়।
চারদিন পুলিশি তদন্ত শেষে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ১৩ জুন শনিবার অভিযোগটি মামলা হিসাবে গন্যকরে তা ১৪ জুন যথারিতি আদালতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ। মামলা নং-১৭ ধারা-৪০৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোর্ড। অভিযোগে বলা হয় নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার উত্তর নাউরীপাড়া গ্রামের মৃত হাজী আঃ হেকিম এর পুত্র সৌদী প্রবাসী মোঃ কাউছার আহাম্মদ কাজল(৩০)দুর্গাপুর উপজেলার কাঁকৈরগড়া গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলামের মেয়ে মনি আক্তার(২৫)কে ইসলামি সরা-সরিয়ত মতে বিগত ১৫/৬/২০১৪ ইং তারিখে বিয়ে করেন। এর মধ্যে তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্মনেয় যার বয়স বর্তমানে ৫ বছর, নাম রাখা হয় মহাতাসিন বিল্লা। বিয়ের পর সৌদী প্রবাসী মোঃ কাউছার আহাম্মদ কাজল একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেই সুযোগে অর্থাৎ দুর্গাপুর চরমোক্তারপাড়া বসবাস করা অবস্থায় প্রতিবেশী নারীলোভী লেবার সরদার আলাল সৌদী প্রবাসী মোঃ কাউছার আহাম্মদ কাজল এর স্ত্রী মোছাঃ মনি আক্তারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়েতোলে এবং এক পর্যায়ে ঐ প্রবাসী মোঃ কাউছার আহাম্মদ কাজল এর সাথে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিবেশ ঘটায় বিভিন্ন উপায়ে রাতারাতি কুটিপতি হয়ে যাওয়া লেবার সরদার আলাল ঐ প্রবাসীর স্ত্রী মনি আক্তার(২৫) কে চতুর্থতম বিয়ে করে লেবার সরদার আলাল। এর আগে তিনটি বিয়ে করেন লেবার সরদার আলাল এবং তাদের ১কন্যা ও ২পুত্র সন্তান রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়। প্রবাসী মোঃ কাউছার আহাম্মদ কাজল ১৬/১০/২০১৪ তারিখ থেকে ঘটনার দিন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন তারিখে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে তার স্ত্রী মনি আক্তার এর কাছে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা পাঠায়। তাছাড়া মনি আক্তার এর বাবা সাইফুল ইসলামকে’কে সৌদী পাঠাতে ৮ লক্ষ টাকা হাওলাদ এবং ৫ ভরি স্বর্ন অলংকার বাবদ আরো ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মোট ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গত ২২ মে তারিখে ফেরত চাইতে গেলে মনি আক্তার সাফ জানিয়ে দেয় যে সে কোন টাকা পয়সা ফেরত দিবেনা। এরপর গত ৯ জুন ঐ টাকা ফেরতের দাবীতে প্রবাসী মোঃ কাউছার আহাম্মদ কাজল এর বড়ভাই মোঃ লাক মিয়া ১। মনি আক্তার পিতা-সাইফুল ইসলাম, ২। সুফিয়া আক্তার স্বামী-সাইফুল ইসলাম, ৩। রাকিব উল্লাহ পিতা- সাইফুল ইসলাম, ৪। মোছাঃ রুনা আক্তার পিতা-সাইফুল ইসলাম’কে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেণ। চারদিন পুলিশি তদন্ত শেষে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ১৩ জুন শনিবার অভিযোগটি মামলা হিসাবে গন্যকরে তা ১৪ জুন যথারিতি আদালতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ।
এবিষয়ে অফিসার ইন-চার্জ(ওসি)মোঃ মিজানুর রহমান বলেন অভিযোগটি এফআইআর করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।