বাগেরহাটে নারী ইউপি সদস্যের মা একাই ১৭ বছর ধরে দুই নামের ভাতা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয় পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম লতার মা মোসাঃ দোলেছা বেগম এই ভাতা উত্তলোন করে আসছেন। অনিয়মের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় সোমবার দোলেছা ও দেলেছা নামের বই দুটি জব্দ করেছে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ সবুর আলী।
সমাজ সেবা কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ১৯৯৯ সালে বাড়ইডাঙ্গা গ্রামের মৃত ওহাব মোড়লের স্ত্রী দোলেছা বেগমের নামে একটি বিধবা ভাতা চালু হয়। ২০০৩ সালে দোলেছা বেগম নিজের ও স্বামীর নাম পরিবর্তণ করে আবারও বিধবা ভাতার আবেদন করেন। সেখানে তিনি নিজের নাম দেলেছা বেগম ও স্বামী মৃত আঃ ওহাব হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এই দোলেছা বেগমের মেয়ে তাছলিমা বেগম লতা ওই এলাকার সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হওয়ায় যাচাই বাঁচাই ছাড়াই সমাজ সেবা অফিসে পাঠানো হয়। একই ব্যক্তির নামে দুটি বই দিয়ে ভাতা চালু হয়ে যায়। এরপর থেকে এই পর্যন্ত দুই নামেই ভাতা উত্তোলন করে আসছেন সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম লতার মা মোসাঃ দোলেছা বেগম।
দেলেছা বেগমের মেয়ে লখপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম লতা কে বার বার ফোন দিলেও তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।
লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন বলেন, আমি ২০১১ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এর আগে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেটা আমার দেখার সুযোগ ছিলনা। যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সেটা যদি সত্য হয়, তা দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা গ্রহন করার আশ্বাস দেন তিনি।
ফকিরহাট উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ সবুর আলী বলেন, দুটি বই থেকে একই ব্যক্তির নামে ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে দেলেছা ও দোলেছা বেগমের বই দুটি জব্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।