সরাইলে সড়কের কাজে অনিয়মের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়েন স্থানীয় লোকজন। আঙ্গুল দিয়ে কাজের ক্রুটি দেখিয়ে কাজ বন্ধ করার দাবী তুলেন তারা। আর এ সময় ক্ষোভে বিক্ষুদ্ধ লোকজন ঠিকাদার শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গালমন্দও করেন। ক্ষুদ্ধ লোকজনের তোপের মুখে পড়েন সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফা ইয়াছমিন। অনিয়ম সংশোধন ও সঠিকভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন প্রকৌশলী। গতকাল সোমবার সকালে সরাইল সদরের হাসপাতাল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে সরাইল-অরূয়াইল সড়কে ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। সরজমিনে জানা যায়, গত রোববার দিবাগত রাতে হাসপাতাল মোড় থেকে সদরে প্রবেশের সড়কের এক পাশে প্রায় ১শত গজ কার্পেন্টিং করে ফেলেন ঠিকাদারের শ্রমিকরা। সেই কার্পেন্টিং কাজে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। তারা বলেন, রাতে গোপনে মেকাডম ছাড়াই ২ ইঞ্চির স্থলে মাত্র সোয়া ইঞ্চি উচ্চতায় কার্পেন্টিং করে ফেলেছে। আর এখন আরেক পাশে বিটুমিন না দিয়েই মনগড়া থিকনেস দিয়ে কাজ করছেন। আর গতকালের কার্পেন্টিং আজ (গতকাল) পায়ের ও গাড়ির চাকার ঘষায় ওঠে যাচ্ছে। এখন বিটুমিন ছাড়াই ইচ্ছেমত প্রকৌশলীর চোখের সামনে কার্পেন্টিং করছেন। আমরা এ জাতীয় কাজ করতে দিব না। টাকা দিচ্ছে সরকার। আপনারা অনিয়ম করবেন। এটা আমরা মানি না। এক পর্যায়ে বিক্ষদ্ধ লোকজন শাবল দিয়ে কার্পেন্টিং ওঠিয়ে মেকাডম না দেওয়ার বিষয়টি জন সম্মূখে উম্মোক্ত করে দেন। সড়কের প্রস্থ থাকার কথা ১২ ফুট। সেটাও নেই। প্রতিবাদে এক সময় লোক সংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্ষুদ্ধ লোকজন ঠিকাদার, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের উপর চড়াও হয়ে গালমন্দ শুরূ করেন। এ সময় অনেক শ্রমিক ও কাজের তত্বাবধায়ককে আস্তে করে কেটে পড়তে দেখা যায়। আর স্থানীয় প্রতিবাদী লোকজনের তোপের মুখে পড়েন উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফা ইয়াছমিন। ক্ষুদ্ধ লোকজনের আন্দোলন ও প্রতিবাদের কারণে সরাইল-অরূয়াইল সড়কে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে উপজেলা প্রকৌশলী গতকালের কাজ বন্ধ করে দেন। আর লোকজনকে ক্রুটিপূর্ণ কাজের সংশোধন ও পরবর্তীতে অনিয়ম নয় নিয়মের মাধ্যমে সঠিক কাজ করার আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন। দুপুর ১২টার পর ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফা ইয়াছমিন অনিয়মের প্রতিবাদে লোকজন রাস্তায় নেমে আসার কথা স্বীকার করে বলেন, কাজের শুরূতে কিছুটা অনিয়ম হয়েছিল। এখন হচ্ছে না। হাসপাতাল মোড়ের কাজে স্থানীয় লোকজন অনিয়মের প্রতিবাদ করেছে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা বলেন, কাজে যথেষ্ট অনিয়ম ও ক্রুটি হচ্ছে। সকালে গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছি চাকার ঘষায় কার্পেন্টিং ওঠে যাচ্ছে। একটি কাজে এত অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না।