বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ডুমুরী গ্রামের মৃত এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া ওয়ারিশ দাবী করে বৈধ ওয়ারিশদের নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ মিলেছে। এর প্রতিবাদে ওই মুক্তিযোদ্ধার বৈধ স্ত্রী আকলিমা বেগম এবং একমাত্র ছেলে আবুল কালাম আজাদ এবং মেয়ে রেশমী আরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আকলিমা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী ২০১৯ সালের এক ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। আমি মরহুমের বৈধ স্ত্রী। আমার স্বামী আমাকে এবং পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ১৯৮১ সালের ২৬ জানিুয়ারি একই গ্রামের মাহফুজা বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করলেও পৌনে দুই মাস পর ১৭মার্চ/ ৮১তে তালাক দেয়। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর একই গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ আলী নামের এক প্রতারক নিজেকে আমার মৃত স্বামীর ঔরসে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী মাহফুজার গর্ভের ছেলে দাবী করে বসেছেন। কিন্তু সে আমার স্বামীর জীবদ্দশায় ছেলের অধিকার নিয়ে আসেনি। পাশাপাশি মাসুদ আলীর ভোটার আইডিতে তার জন্ম তারিখ ২৫ অক্টোবর/’ ৮২। তালাক দেওয়ার প্রায় দেড় বছর পর মাসুদ আলী কি ভাবে আমার স্বামীর ঔরসজাত ছেলে হতে পারে তা কেউ বিশ্বাস না করলেও ভোট ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় নেতারা তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আমাদেরকে নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে। তাদের কারণে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশান সনদপত্র দিচ্ছেন না। ফলে স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতাদি বন্ধ রয়েছে। এদিকে, ভুয়া ছেলে দাবীদার প্রতারক মাসুদ আলী এবার তার ভোটার আইডিতে থাকা জন্ম তারিখ পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। সে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলীর ছেলে বলে দাবী করছে। যার কারণে স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছি। আমি আমার মৃত স্বামীর বৈধ ছেলে আবুল কালাম আজাদ এবং মেয়ে রেশমীকে নিয়ে অর্থাভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতারক মাসুদ আলীর মৃত সোলায়মানের ছেলে বলে দাবী করার তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং আমার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতাদি পাওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।