লালমনিরহাট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক ড.ওমর ইবনে হাসানের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করছে। তবে অভিযুক্ত পলাতক থাকায় পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে ন্যায় বিচার নিয়ে হতাশ ভূক্তভোগীর পরিবার।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১লা মে দুপুরে গৃহ পরিচারিকার কাজের জন্য শহীদ শাহজাহান কলোনীর এক কিশোরীকে ডেকে নেয় ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক ডক্টর ওমর ইবনে হাসান। এসময় ওই কিশোরীর সাথে যান তার দাদি। দাদিকে ঘর পরিস্কারের কাজে লাগিয়ে দিয়ে কৌশলে কিশোরীকে বাথরুমে ডেকে নেন হাসান। কিশোরীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে চালান যৌন নিপীড়ন। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার চেচামেচি করে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এতে তার দাদি ছুটে আসলে রক্ষা পায় মেয়েটি-এমন অভিযোগ ভূক্তভোগী কিশোরীর।
বিষয়টি জানাজানি না করতে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওমর ইবনে হাসান নানান প্রলোভন দিয়য়ে আসছেন কিশোরীর পরিবারকে। কিন্তু কিশোরীর মা রাজি না হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তা তুলে নেওয়ার জন্যও হুমকি দেন তিনি। যদিও নানা নাটকীয়তার পর পুলিশ অভিযোগটি এজহারভূক্ত করে। তবে এখনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ অবস্থায় পুলিশের ভূমিকা ও ন্যায় বিচার নিয়ে হতাশ ভূক্তভোগীর পরিবার।
কিশোরীর মা বলেন, ‘সদর থানার ওসি মাওলানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের নামে জিডি করেছে, আমরা এঘটনার ন্যায় বিচাঁর চাই।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক ডক্টর ওমর ইবনে হাসানের এক ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তিকে ওমর ইবনে হাসান ম্যানেজের চেষ্টা করছেন। যদিও বিষয়গুলো অসত্য ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক অভিযুক্ত ড. ওমর ইবনে হাসান।
অপর দিকে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। তিনি বলেন, অপরাধীর পরিচয় মূখ্য নয়; অপরাধের সাথে তার যতটুকুই সম্পৃক্ততা থাক না কেন আইনের আওতায় আনা হবে।
জেলা পর্যায়ের উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর এমন অভিযোগ সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে। দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার দাবী সুশীল সমাজ ও ভূক্তভোগী পরিবারের।