টঙ্গীর একটি ঘণবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ার কারণে টঙ্গীর সাহাজ উদ্দিন স্কুল এ- কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। সারাবিশে^ করোনা ভাইরাসে চলমান পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করতে সাধারণ মানুষ আজ লকডাউনে ঘরবন্ধি অবস্থায় আছে। এরই মাঝে বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারিভাবে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত সকল স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা থাকা সত্ত্বে সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নানা অনিয়মে মেতে উঠেছে টঙ্গীর সাহাজ উদ্দিন স্কুল এ- কলেজ।
ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা বলেন, তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার জন্য জুন মাস পর্যন্ত বেতন ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করে প্রবেশপত্র নিয়েছে। গত ১৩ জুন সাহাজ উদ্দিন স্কুল এ- কলেজ থেকে ৩টি বিষয়ের জন্য প্রশ্নপত্র ও খাতা দেওয়া হয়েছে। তা বাসায় বসে পরীক্ষা দিয়ে মঙ্গলবার জমা দিয়ে পুণরায় ৩টি বিষয়ের খাতা ও প্রশ্নপত্র নিয়ে যান। বেতন ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করে পরীক্ষা না দিলে তাদের বার্ষিক পরীক্ষায় গ্রহণযোগ্য হবে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রছাত্রীরা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস করোনা ভাইরাসের কারণে আমার বাবা লকডাউনে ঘরবন্ধি ছিল। আমাদের সংসার চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরই মাঝে বিদ্যালয় থেকে চাপ সৃষ্টির কারণে আমার মায়ের কানের জিনিস বিক্রি করে বিদ্যালয়ের ৪ মাসের বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ ২৫শ’ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনলাইনে মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। কিন্তু কোন বেতন ও পরীক্ষার ফি নিয়ে লিখিত কোন পরীক্ষা নিতে পারবে না এবং ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের বিদ্যালয়ের বেতনের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না। এ রকম কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস.এম তরিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।