কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপণি পরিক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করা ১১৪ জন শিক্ষক ৬ মাসেও তাদের সম্মানী ভাতা পাননি। মহামারী করোভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম্মানী না পাওয়ায় তাদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, জেলার উলিপুর উপজেলায় গত ২০১৯ সালের ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে ৬০জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ২৫০ টাকা হারে একজন শিক্ষক সম্মানী বাবদ ১৫ শত টাকা হিসেবে ৯০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। এ ছাড়া পরীক্ষার খাতা মুল্যায়নে ৩৬ জন পরীক্ষক, ১২ জন নিরীক্ষক, ও ৬জন প্রধান পরীক্ষক এসব কাজে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু পরিক্ষার অনুষ্ঠানের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এসব শিক্ষক সম্মানী ভাতার ৫২ হাজার ৮শত টাকা এখনও পাননি। বেতন-ভাতা বঞ্চিত এসব শিক্ষক পরিবার করোনা কালীন সময়ে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ফলে তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ বিরাজ করছে। এদিকে একই সাথে অনুষ্ঠিত পিএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের সম্মানী ভাতা পেলেও ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটায় এসব শিক্ষকের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে অনুষ্ঠিত ইবতেদায়ি সমাপণি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করা কোন শিক্ষকের এখন পর্যন্ত সম্মানী ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। তবে খুব দ্রুত পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড।
উপজেলা ইবতেদায়ি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ দ্রুত সম্মানী ভাতা প্রদানের দাবী করে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বেতন-ভাতা বঞ্চিত শিক্ষকরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসা শিক্ষা শিক্ষা বোর্ড থেকে অর্থ ছাড় করা হয়েছে। দ্রুত অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকদের মাঝে সম্মানী ভাতা বিতরণ করা হবে।