দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের দৌলতপুরের বাসিন্দা মোঃ সৈয়দ আলীর ৮ বছরের ছেলে সিয়ামকে কুকুরে কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন বীরগঞ্জ বরাবর সহ অনুলিপি হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বীরগঞ্জ, বীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের কাছে লিখিতভাবে সিয়ামের পিতা সৈয়দ আলী অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বীরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ার আদিবাসী (সাঁওতাল) সম্প্রদায় বিষু, শুনিরাম, ছুতিরাম, নারায়ণ, সোম, রবির বাড়িতে পালিত ৭-৮ টি কুকুর আছে। ১৫ই জুন সোমবার সকাল ৮ টায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পোষা কুকুর পথের মধ্য সিয়ামকে আক্রমণ করে এতে মাথায় দুইটি ও গলায় একটি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কামড় দিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এসময় অভিযুক্তরা কেউ এগিয়ে আসেনি।কুকুরের আক্রমণের কথা সৈয়দ আলী শুনলে এক পথচারীসহ রক্তাক্ত অবস্থায় সিয়ামকে উদ্ধার করে। বিষয়টি ঐ কুকুরগুলোর মালিকদের জানানো হলে উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করে। এছাড়াও কুকুর গুলো গত ৬-৭দিন আগে প্রতিবেশী আজিজুল ইসলামের একটি ভেড়াকে মেরে ফেলা সহ এলাকায় বসবাসরত এমন কেউ নেই যারা ২-১ বার ঐ কুকুর গুলোর আক্রমণের শিকার হয়নি। পথচারীরা মোটরসাইকেল, সাইকেলে যাওযার পথে ঐ কুকুর গুলো পিছন থেকে ধাওয়া করে এমন অবস্থায় গতি বাড়িয়ে দূর্ঘটনার শিকার অসংখ্য নজির রয়েছে ।এই এলাকায় লোকজন কুকুরগুলো মেরে ফেলার অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ভাষায় গালিগালাজ করে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাসায় চুয়ানির (দেশি মদ) আসর বসে। দৈনিক ৫০-৬০ জন মদ্যপায়ী চুয়ানি পান করতে ও কিনতে আসে। এলাকার সচেতন নাগরিকবৃন্দ প্রতিবাদ করলে তারাই বিভিন্ন সময়ে হুমকি দেয়।এব্যাপারে এলাকাবাসী বীরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়া ও সুজালপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর আদিবাসী পাড়ার কুকুরগুলো নিধন করে এলাকার জনগণকে কুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।