ভোলার চরফ্যাশনে বিএনপির নেতার মাছের ঘেরে আ’লীগ নেতাদেরকে শেয়ারে না রাখায় লোকজন নিয়ে বাঁধ কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই ঘের মালিক প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানান।
ঘের মালিক আলাউদ্দিন মিয়া জানান, উপজেলার মানিকা ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকায় তার মালিকানাধীন ৫০ একর জমিতে ২০১৭ সাল থেকে মাছের ঘেরের ব্যবসা শুরু করেন দুই ভাই আলাউদ্দিন ও দ্বীন ইসলাম। এতে গলদা-বাগদা, রুই, কাতল,মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষা শুরু করেন। কিন্তু ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে একই এলাকার মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি আবু তাহের দালাল, মানিকা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খসরু, আতিকুল ইসলাম সবুরসহ কয়েকজন মাছের ঘেরে শেয়ার নেয়ার জন্য মালিক আলাউদ্দিনকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। কিন্তু ঘের মালিকা শেয়ার নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন আ’লীগ নেতারা। এসব ঘটনায় গত ১৩ জুন দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে আবু তাহের দালাল, রফিকুল ইসলাম খসরু, ছুট্টু মেম্বার, আতিকুল ইসলাম সবুর, সিরাজ দালাল, ইউসুফ দালাল, মজিব চৌকিদার ও মোঃ ইউসুফকে অভিযুক্ত করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ দেয়ার পর তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে বুধবার সকাল ৯টার দিকে লোকজন নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে ঘেরের বাঁধ কেটে দেন। এতে ঘের মালিক প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে জানান। এ সময় তারা পুলিশের সহযোগীতা চেয়েও পাননি বলে জানান।
অভিযুক্ত আবু তাহের দালাল জানান, ঘেরের কারণে এলাকাবাসী চাষাবাদ করতে না পারায় আমিসহ স্থানীয়রা বাঁধ কেটে দেই। তবে তিনি ঘেরের শেয়ার চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ঘের মালিকের ছেলে ফরিদ উদ্দিন জানান, আমাদের মালিকানাধীন ঘেরে শেয়ার না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা বাঁধ কেটে দেয়। ফলে আমাদের পরিবার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, সরকারী খালের উপর আলাউদ্দিন মিয়া বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের তৈরী করায় এলাকাবাসী পানিবন্ধী হয়ে পরার কারণে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে বাঁধ কেটে দেয়। পরে আমরা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি।