করোনা ভাইরাস একটি মরণঘাতক ব্যাধি। সারা দুনিয়ায় এ মরণঘাতক ব্যাধি বিস্তার লাভ করেছে। প্রতিনিয়ত দুনিয়ার উন্নত, অনুন্নত দেশে এ ঘাতক ভাইরাসের ব্যাপকতা বেড়েই চলছে। দুনিয়ার প্রতিটি দেশের সরকার ও নামীদামী ডাক্তাররা আপ্রান প্রচেষ্টা চালিয়েও করোনা ভাইরাস নামক গজব সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক দেশের সরকার প্রধান ব্যর্থ হয়ে বলেছেন আমরা চেষ্টা করে অপারগ ও ব্যর্থ। এ ব্যাপারে আমাদের আর কিছু করার নেই। এখন একটাই ভরসা আকাশ থেকে যদি সৃষ্টিকর্তা সমাধান দিয়ে থাকে।
দুনিয়া সৃষ্টির পর করোনার মতো এমন ভাইরাস কম আবির্ভূত হয়নি। কিন্তু দেখা গেছে আল্লাহর রহমত ও কুদরতে এ সমস্ত মহামারী, গজব, রোগ, ব্যাধি ও ভাইরাস এক সময় বিলীন হয়ে গিয়েছে। এখনও বাংলাদেশসহ দুনিয়ার সরকার প্রধান ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা তা আয়ত্ব আনতে কম প্রচেষ্টা করছেন না। যদিও কিছুই কাজে আসছে না।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বারবার সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন দুনিয়ার মানুষ যখন পাপে আড়ষ্ট হয়ে যায় আল্লাহর নির্দেশিত কিছুই মানে না, তখন আল্লাহর তরফ থেকে মানুষকে সতর্ক ও সাবধান করার জন্য রোগ, ব্যাধি, সাইক্লোন, জলোচ্ছাস, বন্যা, খরা, সোনামি, ভূমিকম্প দিয়ে সতর্ক করা হয়ে থাকে। এমনকি আল্লাহর তরফ থেকেই এসব গজব ও রোগমুক্তির জন্য মুক্তির পথ ও নির্দেশনা ও সতর্কবার্তা দেয়া হয়ে থাকে। আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন নিরাকার ও সর্বশক্তিমান। আল্লাহর হুকুমে দুনিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং আল্লাহর ইশারাতেই দুনিয়া ধ্বংস (কিয়ামত) হয়ে যাবে। আল্লাহর কোনো অংশীদার বা শরিক নাই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরীত রাসূল ও আল্লাহর দোস্ত। চোখের পলকে আল্লাহ রাব্বুল আমীন বাদশাহকে ফকির ও ফকিরকে বাদশাহ করে থাকেন। দুনিয়ার ধন, দৌলত, ক্ষমতা, সম্মান, হায়াত ও মৃত্যু সবকিছুই আল্লাহর হাতে ন্যস্ত। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন আমি যা জানি তোমরা তা জান না। রোগ, শোক, আপদ, বিপদ, দুঃখ, বেদনা, অভাব, অভিযোগ থেকে বাঁচানোর মালিক একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন আমার কাছে বান্দারা যত চায়, আমি তাতে খুশী হই। আরও ঘোষণা করেছেন, আমি যাকে ইজ্জত, সম্মান, দান করি তাহাকে কেহই বেইজ্জতি করতে পারে না। আর আমি যাহাকে বেইজ্জতি করি তাহাকে কেহই ইজ্জত, সম্মান দিতে পারে না। জন্ম, মৃত্যু, রিজিকের ফয়সালাকারিও আল্লাহ।
অবিশ্বাসী পথভ্রষ্ট পাপী ও নাস্তিকদের অনেকেই বলে থাকে মৃত্যু হলে তো সবই শেষ, আর কী আছে। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন পবিত্র কোরআনে সূরা আর রাহমানে বার বার ঘোষণা করেছেন, ফাবি আইয়্যি আলা ইয়া রাব্বীকুমা তোকাজ্জিবান। অর্থাৎ আমার কোন নিয়ামতকে তুমি অস্বীকার করবে। অণু, পরমাণু, বীর্য কণা থেকে আমি মানুষ সৃষ্টি করে থাকি। প্রথমে মাংস পিন্ড, তারপর চোখ, হৃদপিন্ড, ফুসফুসসহ শরীরের সকল অঙ্গ প্রতঙ্গ সৃষ্টি করে থাকি। কে বলে মৃত্যুর পর আমি তাকে জীবিত করতে পারব না। মানুষ চাঁদের দেশে গিয়ে সেখানেও আল্লাহর অস্থিত্ব ও নিদর্শন পেয়েছে। নভোচারী আমস্ট্রং এক সময় মিশর সফরে গিয়ে অনেক অনুষ্ঠানে তা বিশদভাবে বর্ণনাও করে গেছেন। তিনি মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সুমধুর আযানের ধ্বনি শুনে বলেছিলেন, চাঁদের দেশ ভ্রমনকালে সেখানেও তিনি আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আযানের সুমধুর ধ্বনি শুনতে পেয়েছেন।
নিবন্ধে দুকথা লেখে সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের প্রশংসা ও গুণকীর্তন করে শেষ করা যাবে না। সর্বশক্তিমান আল্লাহর দয়া, রহমত, কুদরত ও গায়েবী সাহায্যের সীমা পরিসীমা নেই। যারা এর সামান্য স্বাদ ও সুঘ্রান পেয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই দুনিয়ার কোনো রাজা, বাদশাহ, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি বা শাসন প্রশাসনের কোনো ক্ষমতাধরদের কাছে যায় না। তাদের জিন্দাবাদ, মারহাবা, ধন্যবাদ ও কুর্নিশ জানিয়ে তাদের পেছনে মুসাহেবি, জি স্যার, হ্যাঁ স্যার, ইয়েস স্যার বলে ঘুর ঘুর করে না। তাদের কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে রাহমানুর রাহীম আল্লাহর কাছেই চেয়ে থাকে। সেখান থেকেই গায়েবী ও কুদরতি সাহায্যে সবকিছু সমাধান হয়ে থাকে। অর্থাৎ আল্লাহ কোনো কিছু এরাদা (ইচ্ছা) করলে কুণ উচ্চারণের সাথে সাথে তা হয়ে যায়। কুণ ফায়াকুণ অর্থাৎ হও, হইয়া যাও বলার প্রয়োজন হয় না। যারা ঈমানের সাথে হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল অর্থাৎ আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং হাসবি আল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল অর্থাৎ আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট বলে বিশ্বাস করেও প্রার্থনা করে তাদের কোনো সমস্যা, গজব ও রোগ, মসিবত আল্লাহর রহমতে সমাধান হয়ে যাওয়ার ভুরি ভুরি প্রমান, নজির, উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত রয়েছে। আমার জানামতে এমন একটি ঘটনার বর্ণনা এ নিবন্ধেই রয়েছে।
আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন আয়াত ও সূরার ফজিলতের বর্ণনা করেছেন। যা বাস্তবে প্রমাণিত। কিন্তু অনেক সময় বিশ্বাস ও ঈমানী দুর্বলতার কারণে অনেকেই ইহার প্রতিফলন দেখতে পায়নি। তজ্জন্য সূরা ও আয়াতের কোনো দোষ বা হেরফের নেই। দোষ হচ্ছে ঈমান, বিশ্বাসের ত্রুটি, চোখের দৃষ্টির অভাব ও কলফের অপরিপূর্ণতা। এখনও অনেকেই আয়াতুল কুরসি সূরা পড়ে মাটির ঢিলায় ফু দিলে মেশ্রী হয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে। আমার জানা মতে আল্লাহর অসংখ্য রহমত, কুদরত ও গায়েবী সাহায্যের মধ্যে একটি বাস্তব ও উজ্জ্বল উদাহরণ তুলে ধরা হল। আমার এক নিকটতম আত্মীয় ইউরোপের একটি উন্নত দেশে গিয়ে থাকার অনুমতি না পাওয়াতে চরম দুঃখ কষ্টে যারপর নাই জীবন যাপন করতে থাকে। হতাশায় সে অস্থির হয়ে পড়ে। পরে একজন আলেমের পরামর্শে ১ লাখ বার হাসবুনাল্লাহু ওয়ানিমাল ওয়াকিল পড়ে দোয়া করলে আল্লাহর রহমতে ১ মাসের মধ্যে সে সেই দেশে থাকার অনুমতি পেয়ে থাকে। এমনিভাবে আল্লাহর অসংখ্য দয়া, রহমত ও কুদরতের শেষ নেই।
১০/৬/২০২০ ইং দৈনিক যুগান্তরে আল জাজিরার খবর উদ্ধৃত করে বলা হয়, পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজিনিয়ায় ঈশ্বরের কাছে হার মানল করোনা। দেশের প্রেসিডেন্ট জন ম্যাগফুলি রাজধানীর দোদোয়ার চার্চে ০৮/৬/২০২০ ইং সোমবার এক ভাষণে বলেছেন, সৃষ্টিকর্তার অপর দয়া, করুনা ও সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা ও উপবাসের কারণে বৈশ্বিক এ মহামারী থেকে মুক্তি মিলেছে তানজিনিয়ার মানুষের। ঈশ্বরের কাছে (আল্লাহ) হার মেনেছে করোনার। সৃষ্টিকর্তাকে অসীম ধন্যবাদ। যদিও তানজিনায়াকে ডিব্লিউএইচও করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক করে ছিল এবং দেশের বৃহত্তম শহর দারএস সালামের হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্তদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হত। তাতে আল্লাহর রহমত ও কুদরত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ার ফলেই তানজিনিয়ার জনগণ ও প্রেসিডেন্ট সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেনি। দুনিয়ার সৃষ্টি থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন গজব ও মহামারী থেকে পরিত্রাণে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের অসংখ্য দয়ামায়া ও রহমতের উদাহরণের শেষ নেই।
সূরায়ে ফীল এ বলা হয়েছে মক্কা জয়ের উদ্দেশ্যে যাওয়া আবরাহার বিশাল হস্তী বাহিনীকে আল্লাহর রহমতে আবাবীল পাখীর ঝাঁক কংকার নিক্ষেপ করে ধ্বংস করে দেয়। কথিত আছে এই কংকর যে হস্তী ও যেখানে পড়েছিল সেখানে বিশাল গর্ত হয়ে যায়। হযরত ইউনুছ (আঃ) কে মাছে গিলে ফেললে তিনি লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ছোবহানাকা ইন্নিকুন্তু মিনাজ জ্জোয়ালিমিন জপার ফলে মাছ তাঁহাকে জীবিত অবস্থায় সমুদ্রের কিনারায় এসে বমি করে দেয়। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে নমরূদ আগুনের কুন্ডে নিক্ষেপ করলে আল্লাহর রহমতে আগুন পানি এবং অগ্নিকুন্ড ফুলের বিছানা হয়ে যায়। মূলতঃ আল্লাহর রহমত ও দয়ার শেষ নেই। হযরত ঈশা (আঃ) কে শূলে চড়াতে চাইলে আল্লাহ ঈশা (আঃ) কে আকাশে তুলে নেয় এবং তাদের দলের একজনকে ওরা শূলে চড়িয়ে থাকে। তাই সূরা আর রাহমানে বারবার বলা হয়েছে তোমরা আল্লাহর কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে।
তাই বিভিন্ন গজব, করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য দোরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য বেশী বেশী আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। পড়তে বলা হয়েছে (ক) বিসমিল্লাহিল্লাযী লা য়াদুররু মাআস মিহী সাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামাই ওয়া হুয়াস সামিউল আলীম। আমি শুরু করছি আল্লাহর নামে যার নাম নিলে জমিন ও আসমানের কোনো কিছু ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ- তিরমিযি ৩৩৮৮। (খ) আল্লাহুমা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি ওয়ালজুজামি ওয়া মিং সাম্যিইল আসক্কাম। হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট ধবল, কুষ্ঠ এবং উম্মাদনাসহ সব ধরণের কঠিন দোরারোগ্য ব্যাধি থেকে পানা চাই- আবু দাউদ ১৫৫৪। (গ) লা ইলাহা ইন্না আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজজ্জোয়ালিমীন সূরা আম্বিয়া- ৮৭। (ঘ) আউযু বি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাকা- তিরমিযি ৫৯২। এছাড়াও আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি, সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, আয়াতুশ শিফা, দূরূদশরীফ, নফল নামায, রোজা ও মাসনুন আমল বেশী বেশী করা এবং তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে এই সংকট থেকে উদ্ধারে আল্লাহর সাহায্য ও আশ্রয় কামনা করতে বলা হয়েছে।
ডঐঙ, ওঊউঈজ এর নির্দেশ মেনে চলে করোনা ভাইরাসের হানা থেকে বাঁচার জন্য কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশান, লকডাউনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনে চললেও করোনা মুক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্যই যথেষ্ট। আল্লাহ চোখের পলকে বাদশাহকে ফকির, ফকিরকে বাদশাহ, পাহাড়কে সমুদ্র, সমুদ্রকে পাহাড় করে থাকেন। যার অসংখ্য উপমা, উদাহরণ ও দৃষ্টান্তের শেষ নেই। যে নীলদরিয়া দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে হযরত মূসা (আঃ) সঙ্গীসাথীসহ পাড় হলেন, সেই নীল দরিয়ায় পানি চাপা পড়ে রামোস (ফেরাউন) ও তার দলবলের সলিল সমাধি ঘটে। ইহাই আল্লাহর কুদরতি ক্ষমতার সামান্য উদাহরণ। একদিন আল্লাহর হুকুমে দুনিয়া ধ্বংস (কিয়ামত) হয়ে যাবে। তখন আর কিছুই থাকবে না। এই অল্পদিনের জিন্দেগী যা আখেরাতের ১ মিনিটের সমানও নয়। তাতে আড়াই, বড়াই ও ক্ষমতার বাহাদুরী ত্যাগ করে আল্লাহকে সকলেই স্মরন করলে শুধু করোনা মুক্তিই মিলবেনা, সকল প্রকার গজব, রোগব্যাধি ও সমস্যা থেকে মুক্তি, পরিত্রাণ ও নাজাত পাওয়ারই পথ মিলবে।
করোনা ভাইরাসে আতংক নয়, আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন সূরা তাগাবুন- ১১। আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোনো রোগ সংক্রমন হয় না। করোনা থেকে আল্লাহ বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মানুষকে মুক্তি দান করুন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন, আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত করোনা ভাইরাস কোভিড- ১৯ থেকে মুক্তির পথ প্রদর্শক, পরিত্রাণ কর্তা ও প্রভু। পরিশেষে প্রার্থনা করছি, ইয়া রাব্বুল আল আমীন, ইয়া মাওলা, ইয়া পরওয়ারদেগার, দোজাহানের মালিক আপনি আমাদিগকে দয়া করে ক্ষমা করে দিন। করোনা ভাইরাস ও গজব থেকে আমাদিগকে রক্ষা করুন। আপনিই পারেন রক্ষা করতে। আর কারও কোনো ক্ষমতা নেই। আপনি যা জানেন, তা আর কেহ জানে না। আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। হে প্রভু আমরা আপনার কাছে পরিত্রাণ ও মুক্তি প্রার্থনা করছি।
এ.কে.এম শামছুল হক রেনু
লেখক কলামিষ্ট