কিশোরগঞ্জ শহরের রথখোলা নিবাসী সাফায়েত জামিল রাজীবের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে কিশোগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস কর্মী কর্তৃক হামলার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার সকালে শহরের রথখোলা ঈশা খাঁ রোডস্থ ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারীরা ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনশেষে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপির মাধ্যমে মো: সাফায়েত জামিল রাজীবের উপর ফায়ার সার্ভিস কর্মী কর্তৃক ন্যাক্কার জনক বর্বরোচিত হামলার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মো: সাইফুল, মো: হুমায়ন, আমিনুল ইসলাম বকুল, সৈয়দ রফিক উদ্দিন, মো: পায়েল, মো: তাভির, মো: রাহাত, মো: পল্লব কর, মো: হারুন অর রশিদ, কার্তিক রায়, ফারহান জামান (তন্ময়), মো: মানুন, মো: সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন গত বৃহস্পতিবার (১৮জুন) ঈশা খাঁ রোডস্থ তপন কুঁড়ি মার্কেটে (কাপড়ের মাকেট) আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থিত আল-আমিন টেইলার্স সংলগ্ন স্থানে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গের মাধ্যমে আগুনের শিখা দেখলে কিশোরগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে ফোনের মাধ্যমে সাহায্য নিলে ফায়ার স্টেশন থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুনের শিখা স্থিমিত দেখলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন না করে কেন ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন করা হল এই প্রশ্ন নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রচন্ড ক্ষোভে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। উপস্থিত সাধারণ জনগণ এই আচরণের প্রতিবাদ করেন। এরই একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো: রাকিব অগ্নিনির্বাপক পানির পাইপের লোহার ভারী অংশ দিয়ে সেখানে উপস্থিত রথখোলা নিবাসী মো: সাফায়েত জামিল রাজীবের মাথায় জোরে আঘাত করে। এতে তাঁর মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকলে তাঁকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বর্তব্যরত ডাক্তার প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেলাই দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোবারকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ঘটনার দিন আমাদের তিন জন কর্মকর্তাকে তারা লাঞ্চিত করেছেন। বিশেষ করে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো: রাকিবকে মারাত্বক আহত করেছে তারা। বর্তমানে সে জ¦রে আক্রান্ত। জনগণের সেবা করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক।