গ্রাহকদের সুবিধার্থে ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির সদস্যদের চাহিদা মাফিক ঋণ প্রদান, কৃষিকে সচল রাখতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি ঋণ , খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে যাচ্ছে ব্র্যাক। সোমবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা শাখায় ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির সদস্যদের মাঝে ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ওই এলাকার বেশ কিছু গ্রাহকের মাঝে এসব ঋণ প্রদান করা হয়। ঋণ বিতরনে উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাকের বাঙ্গড্ডা অফিসের এলাকা ব্যবস্থাপক মো: নাদিম আহম্মদ, এলাকা ব্যবস্থাপক (প্রগতি) সাদেক হোসেন, শাখা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম, হিসাব কর্মকর্তা আয়নাল হক প্রমুখ।
জানা যায়, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সর্ববৃহত এনজিও ব্র্যাক, পরপর এ প্রতিষ্ঠানটি ৫ বার বিশ্বে ১ নম্বর স্থান অধিকার করে একটি উন্নয়ন ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। নোভেল করোনা মহামারীর শুরু থেকেই সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। কোরনার শুরু থেকেই মানুষকে সচেতন করতে ব্র্যাকের চৌকস সিদ্ধান্ত ও নিজেদের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে সরকারের পাশাপাশি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মানুষকে সচেতন করার প্রত্যয়ে। ব্র্যাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ভৈরব চন্দ্র বিশ্বাস ও মাহ্ফুজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সচেতনার নানাবিধ কাজ করেছেন উক্ত অফিসের কর্মীগন। মাস্ক, লিফলেট বিতরণ, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বৃত্ত অংকন, মাইকে প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, মসজিদ, মন্দির, বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাতধোয়ার ব্যবস্থাকরার পাশাপাশি জীবানুনাশক ছিটানো সহ নিয়মিত ফোনকলের মাধ্যমে সদস্যদের খোঁজখবর রাখছেন ব্র্যাক কর্মীরা।
সরেজমিনে ব্র্যাকের বাঙ্গড্ডা শাখায় গিয়ে দেখা যায়, সঙ্কটকালীন সময়ে ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির সদস্যদের চাহিদা মাফিক ঋণ প্রদান, গ্রামীন কৃষিকে সচল রাখতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি ঋণ প্রদান, খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সদস্যদেরকে সঞ্চয়ের টাকা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রদান করা হচ্ছে। যেহেতু এ ক্রান্তিলগ্নে কর্মীরা বাড়িতে না গিয়ে থেকেছেন কর্মএলাকার মানুষের পাশে। সেজন্য তারা সেখানকার মানুষের দুর্গতি খুব কাছ থেকে দেখেছে এবং সামর্থ্য আনুযায়ী তাদেরকে সহযোগীতাও করে যাচ্ছে। কর্মীদের এসকল কাজগুলো যতটুকু পেশাদায়িত্ব ছিল ঠিক ততটুকুই ছিল নিজেদের মানবসেবার বহি:প্রকাশ। তাই এ শাখার সকল কর্মীদের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এলাকার সুবিধাভোগী ও স্থানীয়রা।
ব্র্যাকের বাঙ্গড্ডা অফিসের এলাকা ব্যবস্থাপক মো: নাদিম আহম্মদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারনে সরকারের বিধিনিষেধ অনুযায়ী কাউকে ঋণ পরিশোধ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে না। বরঞ্চ অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে আমরা ঋণ প্রদান করছি।
এ শাখার এলাকা ব্যবস্থাপক (প্রগতি) সাদেক হোসেন বলেন, আমরা সর্বদা কর্মএলাকার সকল পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছি, এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিক সময়ে সঠিক কাজগুলো করতে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছি। দেশের এ ক্লান্তিলগ্নে ব্র্যাক কর্মীদের এমন বীরত্বগাথা কর্মকান্ড স্থানীয়দের অন্তরে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে বলেও দাবী করেন তিনি।