করোনা ভাইরাস দুর্যোগে বরগুনার খেয়া ঘাটের ইজারাদাররা সরকারি নিয়ম থেকে বেশি লোক নিয়ে খেয়া পাড়াপাড় করছে, নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া, মানছেন না কোন স্বাস্থ্যবিধি। ভোগান্তিতে যাত্রিরা।
বরগুনা একটি নদী মাতৃক জেলা। ছয়টি উপজেলা নিয়ে এই জেলা। সকল উপজেলা থেকে বরগুনা শহরে দৈনিক বহু মানুষ আসা যাওয়া করে থাকে। সকলেরই এই খেয়াপাড়াপার করে আসতে হয় জেলা শহরে।
আমতলী পুরাকাটা খেয়াঘাট সরকারি চার্টে ভাড়া নেয়ার নিয়ম অনুযায়ী মানুষ পাড়াপাড়ে ১৫টাকা মোটরসাইকেল -১৫টাকা গরু ২৫টাকা ছাগল -০৬ টাকা থাকলেও নিচ্ছে মানুষ -২০ টাকা মোটরসাইকেল -২০ গরু ৫০ টাকা
পুরাকাটা টু আমতলী ইজারাদারের সহযোগী, পিন্টু ও সুমন বলেন, আমরা পাঁচ টাকা করে বেশি নিচ্ছি। আমাদের উপর মহলের কাছে বলে আমরা এটা নিচ্ছি।
চালিতাতলী খেয়াঘাট সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মানুষ-১৫টাকা মোটরসাইকেল -১৫টাকা গরু-২৫টাকা ছাগল -০৬ টাকা থাকলেও নিচ্ছে মানুষ ৩০ টাকা মোটরসাইকেল ৫০ টাকা গরু ১০০ টাকা
চালিতাতলী টু বগীর ইজারাদার হাসান বলেন, আমরা অনেক টাকায় ডাক রেখেছি তাই এখন যাত্রাী কম হওয়ার কারনে পাঁচ টাকা বেশি নিচ্ছি। আর বেশি করে যাত্রী পাড়াপাড় করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমরা কম যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়ার চেষ্টা করি তবে কিছু স্বজনপ্রীতি দেখতে গেলে হয়তো বেশি হয়ে যায়। তবে আমরা চেষ্টা করি যাতে শারিরীক ভাবে করোনা ঝুঁকি না থাকে।
বালিয়াতলি খেয়াঘাট সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মানুষ ১৫টাকা মোটরসাইকেল ১৫টাকা গরু-২৫টাকা ছাগল -০৬ টাকা থাকলেও নিচ্ছে মানুষ ৩০ টাকা মোটরসাইকেল ৫০ টাকা গরু ৮০ টাকা।
লতাকাটা-নকরী খেয়াঘাট সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মানুষ-১৫টাকা মোটরসাইকেল -১৫টাকা গরু-২৫টাকা ছাগল -০৬ টাকা থাকলেও নিচ্ছে মানুষ ৫০ টাকা মোটরসাইকেল ৫০ টাকা গরু ১০০ টাকা।
অর্ধ শতাধিক যাত্রীরা ক্যামেরার সামনে অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা তাদের সাথে এক ধরনের জুলুম করতেছে। কেউ কেউ বলেন, এই মহামারী তে আমারা অর্থহীন হয়ে পরেছি। জরুরী কাজে জেলা শহরে আসতে হয়। আবার করো কারো জেলা থেকে উপজেলায় যেতে হয়। তবে আমরা যে আর্থিক ভাবে নির্যাতিত এই ব্যাপারে দেখার নেই কেহ।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করলেও তারা মানছে না কোন নিয়ম।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোসাঃ মাসুমা আক্তার বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ আসেনি তবে আমরা এখন যখন শুনেছি খুব শীঘ্রই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ অহিদুর রহমান বলেন, আমি নতুন এসেছি বরগুনাতে তবে যে অভিযোগগুলো আমি শুনলাম সেগুলো খুব শীঘ্রই তদন্ত করে দেখা হবে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন এই বিষয় আমি কিছু জানিনা আপনারা ইজারাদারের সাথে কথা বলেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর পূর্বে, বিভিন্ন ঘাটে অনিয়মের কারণে ইজারাদারদের জরিমানা করা হলেও অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন এখনও দেখা যায়নি ।