আমতলী ও তালতলীতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাফেরা করায় একজন ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, টেকনেশিয়ান, স্বাস্থ্যকর্মী ও ব্যবসায়ীসহ ৮ জন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এক দিনে আটজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন আক্রান্তদের বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছেন। এনিয়ে আমতলীতে ৩৪ ও তালতলীতে ১২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আমতলী ও তালতলী উপজেলার করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই নমুনা উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব (করোনা ল্যাব) পাঠিয়ে দেয়। শনিবার রাতে তাদের প্রতিবেদন আমতলী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। প্রতিবেদনে আমতলী ও তালতলী উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনেশিয়ান ও ব্যবসায়ীসহ আটজনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আক্রান্তদের মধ্যে ছয়জন আমতলী পৌরসভা ও কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের। আর দুইজন তালতলী উপজেলার। আক্রান্তরা বাড়ীতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং চেয়ারম্যান ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাঃ এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নিয়ে বাড়ীর আইসোলশেন রেখেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা গভীর পর্যবেক্ষনে আছেন এবং চিকিৎসায় জন্য সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন বলেন,আক্রান্ত ব্যাক্তিদের বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।