জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও চরম দূর্ভোগে রয়েছে বানভাসি মানুষ। গত শনিবার (৪জুলাই) ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ১৬সেন্টিমিটার কমে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদ-নদীর গুলির পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার প্রায় ৪ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ এবং পানি মাপক গেজ পাঠক আবদুল মান্নান।
সবমিলিয়ে ৭ উপজেলার ৬৮ইউনিয়নের মধ্যে ৪২টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। এদিকে বিভিন্ন এলাকার আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা একখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানিবন্দী দুর্গত মানুষের খাদ্যে,বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের ৫৩৪ মেট্রিক টন চাল,নগদ সাড়ে ১৩ লাখ টাকা এবং ২হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছ।
অপরদিকে দিনব্যাপী ইসলামপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল বন্যা কবলিত এলাকা চিনাডুলী ইউনিয়নের বামনা,শিংভাঙ্গা,বলিয়াদহ,গুঠাইল ভানবাসী ৪শত পরিবারের মাঝে ১০কেজি করে ত্রানের চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও গো-খাদ্য বিতরন করেছেন। এ সময় সুফল প্রকল্প ইসলামিক রিলিফের আওতায় ত্রিপল ও হাইজিং কিট বিতরন করা হয়।