গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্তব্যরত ডাক্তারকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবীতে সেখানকার চিকিৎসকেরা দ্বিতীয় দিনের মতো চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন।
সোমবার সকাল থেকে তারা দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের কর্মবিরতি শুরু করেন। দোষী ব্যক্তিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকেরা তাদের কর্মবিরতী পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তবে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ আসামীদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছেন বলে জানিয়েছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাকিব হাসান তরফদার। অন্যদিকে, চিকিৎসকেরা বলেছেন, মূল আসামি কাজী তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা না হলে তারা তাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
বিএমএ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এমএম মঈনউদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারন সম্পাদক ডাঃ হুমায়ন কবির টুঙ্গিপাড়ায় কর্মরত ডাঃ অপূর্বকে লাঞ্চনাকারী মূল আসামি তরিকুলকে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে গ্রেফতার করার দাবী জানাই। টুঙ্গিপাড়ায় কর্মরত চিকিৎসকেরা চিৎিসকের উপর হামলার প্রতিবাদে ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবীতে যে আন্দোলন করছে তার সাথে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করেছি। আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে মূল আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার না করতে না পারলে বিএমএ থেকে তারা বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহন করবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে একজন রোগী করোনা উপসর্গ নিয়ে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখানে সাড়ে ৮টার দিকে ওই রোগী মারা যায়। তাকে চিকিৎসা দিতে দেরী হয়েছে এমন অযুহাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে কাজী তরিকুলসহ রোগীর বেশ কয়েকজন স্বজনরা শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে।
এ ঘটনার জের ধরে ডাক্তারদের পক্ষ থেকে গত (শনিবারই) টুঙ্গিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদেরকে গ্রেফতার করা না হলে চিকিৎসকেরা ধর্মঘটে যাবেন বলে আল্টিমেটাম দেন। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করতে না পারায় তারা ইনডোর, করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা বাদে আউটডোর চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন।