ফুলবাড়িয়ায় এক বখাটে দুই সন্তানের জননী আদিবাসী নারীকে পাঁচ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটিয়েছে উপজেলার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের উজ্জ্বল মিয়া। সে বাবুলের বাজার এলাকার মৃত রবুল্লা আকন্দের ছেলে।
ওই নারীর স্বামী বিদেশে থাকেন। তার দুই ছেলে। স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে তাদের বাড়িতে উজ্জ্বল মিয়া প্রায়ই আসা-যাওয়া করত। ওই নারী নিষেধ করলেও বখাটে উজ্জ্বল তার কথা শোনেনি। উজ্জ্বল তাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিত। তার কথা না শুনলে দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিত। একপর্যায়ে তার অত্যাচারে ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে ভালুকায় বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। এর মধ্যে উজ্জ্বল গত ৩ জুলাই ওই নারীকে ফোন করে বলে ৩০ মিনিটের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় না এলে তার দুই ছেলেকে মেরে ফেলবে। এ অবস্থায় সন্তানদের রক্ষায় তিনি উজ্জ্বলের দেওয়া ঠিকানায় যান। পরে উজ্জ্বল তাকে নিয়ে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নন্দপুরে একটি বাসায় নিয়ে আটকে রেখে টানা পাঁচ দিন ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই নারীর কাছে স্বামীর পাঠানো দেড় লাখ টাকা ছিল। সেই টাকাও নিয়ে যায় উজ্জ্বল। পরে গত বুধবার দুপুরে তাকে মধুপুরের গহিন বনে ফেলে রেখে উজ্জ্বল চলে যায়।
এ ঘটনায় ওই নারীর ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী তাকে আর ঘরে তোলা যাবে না বলে জানিয়ে দেন তাদের পঞ্চায়েত নেতা। এদিকে বুধবার রাতেই স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য লাল মাহামুদ সালিশ ডেকে ওই নারীকে থানায় অভিযোগ না করার শর্তে ১০ জুলাই তার টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।