নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে চাঞ্চল্যকর প্রতিবিন্ধী যুবতী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আক্রাম (২৫)নিহত হয়েছে। এ সময় সেনবাগ থানার এক এএসআই সহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুইটি এলজির গুলি ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করেছে করেছে। ওই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে সেনবাগ উপজেলার ৫নং অজুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর গ্রামে। বন্দুক যুদ্ধে নিহত আক্রাম হোসেন উত্তর মানিকপুর গ্রামের মৃর্ধা বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতের মৃধা জানায়, ১১ জুন সেনবাগের মানিকপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবিন্ধী যুবতী (২০) ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি আক্রাম হোসেন এলাকায় অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে থানার ওসি তদন্ত ইকবাল হোসেন,এসআই জসিম উদ্দিন, এসআই নাজমুল, এএসআই লোকেন মহাজন, কনষ্টেবল জিয়া ও এমরান হোসনকে নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে আক্রামকে ধরতে তার গ্রামের বাড়িতে পৌছলে আক্রাম ও তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশও আর্ত¡রক্ষায় পাল্টা ২২ রাউন্ড গুলি ছুড়লে আক্রামের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলের অধুরে আক্রামকে গুলি বিদ্ধ অবস্থায় উাদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। বর্তমানে লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ওসি আরো জানান, ১১ জুন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (২০)কে আক্রামের নেতৃত্বে একটি বখাটে দল স্থানীয় একটি কবরস্থানে নিয়ে গণধর্র্ষন করে। এরপর ধর্ষীতার মা বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় ধর্ষন মামলা(৫) দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৩জনকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। ঘটনারপর থেকে আক্রাম সহ মামলা অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে। শরিবার গভীর রাতে থানা পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে আক্রাম এলাকায় অবস্থার করছে। এই খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযাগে গেলে ওই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।আক্রাম নিহতের ঘটনায় পুরো এলাকায় শস্তি নেতে এসেছে।