নোয়াখালীর কবিরহাটের বাটইয়া ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মিরণ বলেছেন, মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারার মধ্যেই বেশি আনন্দ আছে। এজন্য বাটইয়ার মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে কাজও করছি। মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকাটা আমার কর্তব্য মনে করি। জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে পারাটাও আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। মানবতার কল্যাণে খরচ করতে না পারলে সেই ধন সম্পদ থেকেও কোনো লাভ নেই। মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আমি চেয়ারম্যান হওয়াটা মূখ্য বিষয় নয়। বরং এই মুহুর্তে মানুষকে সুখে রাখার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ মনে করছি।
শনিবার সকালে শীর্ষ অনলাইন নিউজ এজেন্সি এফএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন মিরণ বলেন, যতই বাধা আসুক, মানুষের জন্য কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। প্রয়োজনে নিজের জীবনটুকুও বিলিয়ে দেবো। যারা সন্ত্রাস এবং লুটপাট চালায়, তারা কখনো জনগণের বন্ধু হয়নি। হতে পারবেও না। মানুষকে ভালবাসার মধ্যে দিয়েই সকল আনন্দ পাওয়া যায়। আর হিংসা করলে নিজেরই ক্ষতি হয়। মিরণ উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, সড়ক পরিহন, সেতু মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি’র একান্ত প্রচেষ্টায় বাটইয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আনোয়ার হোসেন মিরণের পিতা মরহুম আইয়ুব আলী মিয়া। এই পিতার আদর্শেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় কাজ করছেন।
এলাকাবাসী জানায়, মিষ্টি ভাষার অধিকারী আনোয়ার হোসেন মিরণ। মহামারী করোনার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বহু অভাবী মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। নগদ টাকাও দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি প্রায় দশ লক্ষ ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণে। এখনো দরিদ্র মানুষেরা তাঁর কাছে সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ছুটে যাচ্ছেন। এতে তিনিও কাউকে নিরাশ করছেন না। গরীব মেয়ের বিয়ে, যুবকদের বিদেশ যাত্রা কিংবা কারও চিকিৎসায় ক্ষেত্রে এবং স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে তিনি আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। এসব কারণে বাটইয়ার শান্তপ্রিয় মানুষগুলো তাকে ‘গরীবের বন্ধু’ নামেই বেশি চিনেন। মাদক, যৌতুক ও বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থানও জোরালো। আনোয়ার হোসেন মিরণ বসুরহাটের মেসার্স অভি এন্টার প্রাইজ এবং বাটইয়ার একতা ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী। এছাড়াও একাধিক সেবামূলক সংগঠনের সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বাটইয়া ইউনিয়নের নির্বাচন এখনো দেরী আছে। তবুও ভোটাররা নির্বাচন নিয়ে চায়ের দোকানে নানা বিচার-বিশ্লেষণ করছেন। এতে আনোয়ার হোসেন মিরণকে বাটইয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো-এমনটাই জোরালো আলোচনা চলছে এলাকার নানা জায়গায়। আনোয়ার হোসেন মিরণ মহান আল্লাহর কাছে রহমত কামনা করে সেই প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের কাছে তিনি দোয়াও চেয়েছেন।