ঝালকাঠির রাজাপুরের লেবুবুনিয়া বাজারের মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় প্রতিক্ষের হামলায় পুলিশ সদস্য রাজু আহম্মেদের মা লিপি বেগম (৩৫) ও খালা হেপী বেগমকে (৩০) কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয়া এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন আহতের ভাই হাসান ইমাম হাওলাদার। ঘটনা ও মামলার বিবরন দিয়ে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে এসে সোমবার এসব অভিযোগ করেন পুলিশ সদস্য রাজু আহম্মেদ। রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আহত দুই বোন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বারের মেয়ে। ১১ জুলাই দায়ের হওয়ায় ৯ নম্বর মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ১০ জুলাই বিকেলে একই বাড়ির প্রতিপক্ষ দুলাল হাওলাদারের একটি মুরগী মারা যায়। এ ঘটনায় হেপী বেগমকে অভিযুক্ত করে দুলালের স্ত্রী রুজিনা বেগম। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় রুজিনা হেপী বেগমকে মারধর শুরু করে এবং রুজিনার ছেলে রিয়াজ হাওলাদার দাও দিয়ে হেপীকে মাথায় ও হাতে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ডাক চিৎকারে বোনকে রক্ষা করতে লিপি বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে মাথায় ও হাত জখম করে। এ সময় দুলাল হাওলাদারসহ অন্য প্রতিপক্ষরা পিটুনি ও কুপিয়ে হেপির মাথা ও ডান হাতের আঙুল কেটে দেয় এবং লিপির মাথায় ও বাম হাতের আঙুল কেটে দেয়। আহতরা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রিয়াজ হেপির গলায় থাকা একটি স্বর্নের চেই নিয়ে যায় এবং হেপির শ্লীলতাহানি করে এবং রুজিনা লিপির গলায় থাকা একটি স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়। অভিযুক্ত রিয়াজ হাওলাদার ও তার মা রুজিনা বেগম জানান, তাদের মুরগী মেরে ফেলা নিযে ঝগড়ার একপর্যায়ে হেপি তাকে মারধর করে। মাকে রক্ষার্থে রিয়াজ এগিয়ে গেলে হেপি ও লিপি রিয়াজকেও মারধর করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দস্তাদস্তির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আলম জানান, বাদি ও আসামীদের বাড়ি পাশাপাশি তাদের মধ্যে মুরগি মারা ও জমি নিয়া বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।