উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমন ধানের বীজতলা। অন্যদিকে সোমবার (১৩ জুলাই ) সকাল থেকে পানি নামতে শুরু করায় তেমন ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মোহিত কুমার দে বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদরসহ নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীর প্রায় ২২০ হেক্টর আমন ধানের বীজ তলা নষ্ট হয়েছে। আর পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির চিত্রটা ভালোভাবে জানা যাবে। তিনি জানান, আগস্ট মাস পর্যন্ত বন্যার পানি ওঠা নামা করলেও ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। যদি ওই মাসের পর বন্যা পরিস্থিতি আবারো তৈরি হয় তাহলে ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য ৫০ হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা তৈরি করা হবে। সেখান থেকেই বিনামূল্যে চারা বিতরণ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালীউল হাসান বলেন, অতি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যারা দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন তাদের সহায়তা করার জন্য কাজ করছে ইউএনও’রা। আর নালিতাবাড়ীর মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতে ব্যবস্থা নিয়েছে পাউবো কর্তৃপক্ষ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসএই জিয়াসমিন খাতুন বলেন, কয়েক দিন আগে ব্রহ্মপুত্র, চেল্লাখালী, ভোগাই ও নাকুগাঁও এলাকার নদণ্ডনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।