কুয়াকাটায় কচ্ছপখালী খালে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে করা একাধিক পুকুরসহ মাছের ঘের অপসারনসহ খাল উম্মুক্ত করার দাবিতে স্থানীয় শত শত মানুষ মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন করেছে। কচ্ছপখালী খাল পুনরুদ্ধার কমিটির উদ্যোগে নবীনপুর গ্রামে কচ্ছপখালী খালের বাঁধের ওপর এ মানববন্ধন করা হয়েছে। ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধনে ভুক্তভোগী কৃষকসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। তারা এ সময় বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। সকলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন নবীনপুর গ্রামের বাসীন্দা মো. শাহজাহান মৃধা। লোকজন জানান, স্থানীয় হাজী চান মিয়া, আফজাল ফকির, পনু মিস্ত্রিসহ আরও কয়েকজনে এখালটি দখল করেছে। একের পর এক বাঁধ দিয়ে পুকুর এবং মাছের ঘের করেছে। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কৃষিকাজে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় সবাইকে। খালটি আটকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কালভার্ট ছাড়া রাস্তা করছে। অপরিকল্পিতভাবে সরকারি টাকার অপচয় করা হচ্ছে। পাঞ্জুপাড়া, নবীনপুর, আজিমপুর, থঞ্জুপাড়া, দোকাসীপাড়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। স্থানীয়রা জানান, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তারা এ বিষয় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মহিপুর ভূমি অফিসে দেনদরবার করেছেন, কিন্তু কেউ ভ্রক্ষেপ করছেন না। কচ্ছপখালীর দীর্ঘ সাড়ে সাত কিলোমিটার খালটি পুনঃখননের নামে এসব দখলদার উচ্ছেদ না করেই কাগজে-কলমে পুনঃখনন দেখানো হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি এস এ নক্সা অনুসারে খালের সীমানা চিহ্নিত করে অবৈধ বাঁধ এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি পুনরুদ্ধার করা হোক। তারপরে খনন করতে হবে। না হয় কৃষিকাজে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। এখনই জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয়। বাড়িঘর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। স্থানীয় একাধিক কৃষক অভিযোগ করেন মহিপুর উপ-সহকারী (তহশিলদার) কর্মকর্তা আবদুল আজিজকে বহুবার খাল দখল, সরকারি পুকুর দখলমুক্ত করার জন্য বলা হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি।