শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার ১৪ জুলাই দুপুরে স্থানীয় সাপ্তাহিক বাংলার কাগজ পত্রিকায় ভুয়া সংবাদের বিরোদ্ধে এক সংবাদ সন্মেলন করেছে মোঃ হাসানুজ্জামান খোকন নামে এক ভুক্তভুগি।
সংবাদ সন্মেলনে মোঃ হাসানুজ্জামান খোকন লিখিতপত্র ঘোষনায় বলেন, গত ১১ জুলাই নালিতাবাড়ীস্থ টিএন্ডটিপট্টি ডায়গনোষ্টিক সেন্টারের সামনে দিয়ে যাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি আমার নিকট ১২৫ সিসি টিভিএস ফনিক্স গ্রে কালার মোটরসাইকেলটি বন্ধক রেখে ৫০ হাজার টাকা নেয়। সেই টাকা ৩বছর যাবৎ দেই দিচ্ছি বলে কাল ক্ষেপন করে। সেই দিন আমি মোটর সাইকেলটি ওই জায়গায় দেখি এবং গাড়ীর কাছে গিয়ে ওই মোটরসাইকেলটি আটকাতে চেষ্টা করি। পরে আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির চাবি দিয়ে মটর সাইকেলটি র্ষ্ট্রাট হলে আমার মটরসাইকেলটি রেখে ওই মটর সাইকেলটি নালিতাবাড়ী শহরের আড়াইআনী বাজারে নিয়ে আসি। কিন্তু ওই সময় কাউকে কিছু বলতে পারি নাই। পরে গাড়ী রেখে আমার নিজের গাড়ী আনতে গেলে জানতে পারি সেই গাড়ীটি প্রভাষক আঃ রহিমের। বিষয়টির ব্যাপারে সেখানে কথা বলায় অনেক মানুষ জড়ো হয় এবং দুঃখজনক ভাবে ভুল বুঝাবুঝির পর অনেকের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা হয়। সেখানে অনেক মানুষের মাঝে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশও উপস্থিত ছিল। তৎক্ষনাত আমি ওই প্রভাষকের গাড়ী ফিরিয়ে দেই এবং আমার কাছে থাকা ওই গাড়ীর কাগজপত্র নিয়ে যাই। বিষয়টি উপস্থিত সবাই জানতে পারেন। কিন্তু দুঃজনক ভাবে পরে সেই ওই বিষয়টি সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনির তার বাংলার কাগজ পত্রিকায় “প্রভাষকের মটরসাইকেল গোপনে নিয়ে ফেসে গেল খোকন” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে। এছাড়াও বিষয়টি আক্রোশ সৃষ্টি করতে তার ফেসবুক পেইজে নো ক্যাপশন ..টিএন্ডটি রোডে খোঁজ নিন শিরোনামে ৫ সেকেন্ডের ২ভিডিও প্রকাশ করে। এতে ওই সাংবাদিক কি বুঝাতে চেয়েছেন ? উরেøখ্য ইতঃপূর্বে শহরের শীলপাড়া এলাকায় আমি একখন্ড ভূমি ক্রয় করে দখল নিয়ে ঝামেল্য়া পড়ে যাই। পরে ভূমি খানা উপড় উচ্ছেদ মামলা করে আদালতের সহযোগিতা নিয়ে দখলে যাই। ওই সময় মনির সাংবাদিক আমার পক্ষে সংবাদ করবে এইজন্য আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে আমার বিরোদ্ধে তার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। পরে আমি তার বিরোদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটি তদন্তনাধীন। সেই প্রতিহিংসায় আমার বিরোদ্ধে যড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে এবং খবর প্রকাশ করতে থাকে। তার আরো অনেক অপকর্ম রয়েছে সেহুলি বলা হবে। আর এসব যা তার মনগড়া, ভিত্তিহীন, বানোয়াট। আমি খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানচ্ছি। আমি প্রশাসনসহ সকলের কাছে এই সাংবাদিকের বিচার চাই এবং আমি আইনগত ভাবে তার বিরোদ্ধে মামলা করবো। চাই লেখুনির মাধ্যমে সত্য প্রকাশিত হোক। আমি খবরটি প্রকাশ করার অনুরোধ করছি।
এদিকে আমার চিত্রায়ন ডিজিটাল প্রির্ন্টাস এর নামে তার পত্রিকায় একটি অ্যাড দিয়েছিল। সেই এ্যাড এর ৩২শ টাকা সে আমার কাছে চায়। পরে আমি ৫শত টাকা দিব বললে সে রাজি না হয়ে হুমকি ধামকি দেয়। এই পূর্ব ঘটনার কারনেই সে আমার প্রতি একর পর ্এক সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে।
এব্যাপারে বাংলার কাগজের সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, আমি সংবাদে কোথাও তাকে খোরাপ কথা লিখিনি বা বলিনি। সে অন্যের গাড়ী কাউকে না জানিয়ে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। সেখানে যখন মানুষ জড়ো হয় তখন তাকে প্রশ্ন করে। আমি সেই ক্যাপশন ফেসবুক পেইজে দিয়েছি। কাজেই সে নিজের অপরাধ ঢাকতে মনগড়াভাবে আবোল-তাবোল বলছে। প্রশাসনের কাছে আমার দাবী হলো, এমন একজন চিহ্নিত অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সমাজকে রক্ষা করা হোক। আর তার এ্যাড এর ব্যাপারে আমি তার কাছে টাকা পেতাম সেই টাকা আমি চেয়েছি।