বর্ষা শতশত বছর কাঁদিয়েছে ওদের। পরিবারের সকলের বন্দি জীবন-যাপন। কেঁড়ে নিয়েছে রাতের ঘুম। সাপ আতঙ্ক কুঁড়ে খেয়েছে। পশু পাখি নৌকায় রেখেছে। বানে ভেসে যাওয়ার ভয়ে আঁকরে থেকেছে শিশু বাচ্চাদের। নৌকা বা আলো দেখলেই ডাকাত বলে চিৎকার করেছে। লাটে ওঠেছে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখা। বাড়ি রক্ষায় বন (খের) ও কচুরীপানা দিয়েছে। না খেয়েও ইটের বাঁধ দেওয়া ছিল ফরজ। সরাইলের ভাটি এলাকা খ্যাত চুন্টার লোপাড়া ও অরূয়াইল পাকশিমুলের মানুষের বর্ষার জীবন যাত্রা ছিল এমন। ২০১০ সালে কাঙ্খিত সরাইল-অরূয়াইল সড়ক নির্মাণ হওয়ার পর কেটে গেছে সকল কষ্ট ও অন্ধকার। পাল্টে গেছে ওই জনপদের মানুষের জীবন চিত্র। সকল আতঙ্ক ঝড় ঝাপ্টা এখন সড়কই ঠেকায়। তাই বর্ষা আসলেই এখন আনন্দে ভাসে ওঁরা। কোন টেনশন নেই। দাবরিয়ে বেড়ায় পাড়ায় পাড়ায়। সড়কে করে খেলাধূলা। বর্ষার পানিতে সাঁতার কাটে ইচ্ছেমত। ব্রীজের উপর থেকে শৈল্পিক ভঙ্গিতে লাফিয়ে বেড়ায়। পানিতে পড়ে। খুবই চমৎকার উৎসবমূখর এক পরিবেশ। গতু সোমবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের ক্যামেরায় এমনিই এক মূহুর্তে বন্দি হয় ভূঁইশ্বর গ্রামের এক কিশোর।