পিরোজপুরের নাজিরপুরে যৌতুকের দাবীতে ব্যবসায়ী শ্যালক (স্ত্রীর বড় ভাই) মো. আজিম হাওলাদার (৫৫) কে কুপিয়ে আহত করেছে ভগ্নিপতি রঞ্জু শিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৪জুলাই) রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের উত্তর ঘোষকাঠী গ্রামে। আহত আজিম হাওলাদার উপজেলা সদরের ইলেকট্রনিক্স ও লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। তিনি ওই বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি। আহত আজিম হাওলদার জানান, তার ছোট বোন শিউলী আক্তারের সাথে গত ১৫ বছর আগে স্থাণীয় ওয়াহেদ আলী শিকদারের পুত্র রঞ্জুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমাদের পরিবারের সাধ্যমতো আমরা তাকে উপহার সামগ্রী দেই। এ ছাড়া আমার ছোট ভাই এনায়েত হাওলাদারের নোয়াখালীর একটি লেপ-তোষখের দোকান তাকে দিয়ে দেই। কিন্তু এর পরও বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীর (আমার বোন শিউলী) উপর অমানবিক অত্যাচার করেন। এ ছাড়া জমি দাবী করে। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে ভগ্নিপতি রঞ্জু শিকদার ও তার বড় ভাই রাজ্জাক শিকদার হঠাৎ আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমাকে মারধর সহ কুপিয়ে আহত করে। হামলাকারীর স্ত্রী শিউলী বেগম জানান, আমাদের বিয়ের সময় স্বামী রঞ্জু শিকদারকে আমার ভাইয়েরা বিভিন্ন সময়ে অনেককিছু দেন। কিন্তু এরপরও আমার স্বামী যৌতুক বাবদ দেড় বিঘার একটি জমি দাবী করেন। জমিটি পড়ে দিতে চাইলে তিনি ওই রাতে প্রথমে আমাকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে আমার বড় ভাই আজিম হাওলাদাকে পিটিয়ে ও পড়ে কুপিয়ে আহত করে। আমার স্বামী নিয়মিত নেশা করে যৌতুকের দাবীতে আমার উপর উপুর্যপরি হামলা চালায়। আহত আজিম হাওলাদারকে গুরুতর অবস্থায় ওই রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাত জাহান জেরিন জানান, তার পিটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার নাকে আঘাতের কারণে তা থেকে রক্তক্ষরন হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ২ ভাই পলাতক ও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে কোন যোগাযেগ করা সম্ভব হয় নি। থানা পুলিশের কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।