প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার-প্রচারণা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য এবং ফেসবুক স্ট্যাটাসের অভিযোগে বগুড়ায় মাওলানা আবদুর রহমান দিদারী নামে মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে শেরপুর থানা পুলিশ তাকে বাগড়া কলোনি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তিনি ওই কলোনি এলাকার মসজিদের পেশ ইমাম।
পুলিশ জানায়, মাওলানা আবদুর রহমান দিদারী জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ধুন্দার গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। কট্টর মৌলবাদী আবদুর রহমানের মসজিদে ইমামতি ও ওয়াজ মাহফিল করাই পেশা। তিনি জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের একজন কট্টর সমর্থক। তিনি কারণে অকারণে সরকারের বিরুদ্ধাচরণে সোচ্চার ছিলেন। বিশেষ করে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদি মানবতা বিরোধী অপরাধের কারণে যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত হলে তিনি আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন সময়ে তার কথা-বার্তা, চাল-চলন ও বক্তব্যে সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক, আপত্তিকর ও মানহানীকর বক্তব্য প্রচার করতে থাকে। বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামি জালসায় সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্যের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি মাওলানা আবদুর রহমান দিদারী থেকে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন বিভিন্ন ধরণের আপত্তিকর ও মানহানীকর পোস্ট করেন।
এসব ঘটনায় শেরপুর উপজেলার কুসু¤॥^ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী সঞ্জুর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর প্রচেষ্টা শুরু করেন। একপর্যায়ে উপায়ান্তর না দেখে বাগড়া কলোনি জামে মসজিদে গিয়ে এলাকার মুসল্লি ও মসজিদ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে জানিয়ে থানায় মাওলানা আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এ ঘটনায় শনিবার আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে মামলা করার পরই পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল মো. গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত ) মো. আবুল কালাম আজাদ ও এসআই বাচ্চু বিশ্বাসসহ পুলিশের একটি টিম মাওলানা আবদুর রহমান দিদারীকে বাগড়া কলোনি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকালে তার হেফাজত থেকে একটি স্যামফনি অ্যান্ড্রয়েট মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার মাওলানা আবদুর রহমান দিদারীকে আদালতে উপস্থাপন করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।