কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে অসহায় একটি পরিবার পিতৃভূমিহারা হয়ে সুবিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শনিবার দুপুওে (১৮ জুলাই) কিশোরগঞ্জের একটি অনলাইন পোর্টাল কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। লিখিত সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের দক্ষিণ নানশ্রী গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের কন্যা জাহানারা আক্তার, শামসুন্নাহার ও আয়েশা আক্তার বলেন, ১৯৯১ সালে আমাদের বাবা ২০১৮ সালে আমাদের মাতা মারা যাওয়ার পর আমাদের কোন ভাই বা অভিভাবক না থাকায় চাচাতো ভাই আ.লতিফ মেম্বার, লাল মাহমুদ,সফির উদ্দিন ও আল আমিন গংরা আমাদের বড় বোন জামাই আমির হোসেনকে কৌশলে তাদের জিম্মায় নিয়ে আমাদেরকে ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। নানাভাবে ভয়ভীতি ও হয়রাণী করে আমাদের ৪.৯৩ একর ভূমি দখলের পায়তারা করছে। সম্প্রতি তারা আমাদের ভিটেবাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে আমার বাবার রোপনকৃত গাছ কাটতে চাইলে তাতে বাঁধা দিলে আমাদেরকে বেধরক মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবৈধ দখল সাময়িক রোধ করেন এবং তা সমাধানের লক্ষ্যে শালিশ বৈঠকের তারিখ নির্ধারন হলে বৈঠকের দিন আমাদের মানসিক ভারসাম্যহীন বোন আয়েশা আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত স্থানে লুৃকিয়ে লাখে। অনেক খোঁজাখোঁজির পর আমাদের বোনকে না পেয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি ডায়েরী (নং ৩০২ তাং ৯/২/২০২০ ইং) দায়ের করি। পরবর্তীতে তিন দিন পর প্রতিপক্ষরা আমাদের বোনকে বাড়ির সামনে রেখে যায়। বোনকে খোঁজে না পাওয়ার কারণে পুলিশ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে শালিশ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি। অদ্যাবধি শালিশ বৈঠক বসার জন্য অনুরোধ করলে তারা বলে প্রথমবার তোর বোনকে ৩দিন গায়েব রেখে বাড়ির দিকে ছেড়ে দিসি এইবার যদি তুলে নেই আর কোনোদিন ফেরত পাবি না,জানে বাঁচতে চাইলে বাড়ির দিকে আর ফিরিস না বলে অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষের অত্যাচারে আমরা আমাদের পৈত্রিক ভিটেমাটিতে উপস্থিত,অবস্থান কিছুই করতে পারছি না। প্রতিপকক্ষরা প্রতিনিয়ত ওয়ারীশান নিশ্চিহ্ন করার য়ড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যে কোন সময় আমাদের জান মালের অপুরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য সুবিচার চেয়েছেন পরিবারটি।
জাহানারার বড় বোন জামাই আমীর হোসেন বলেন,আমি এলাকাবাসীদের নিয়ে শালীদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা নিতে চাইলে তারাই একত্র হতে পারেনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরুজ আলী বলেন, আমরা শালিশ বৈঠকের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু জাহানারার চার বোনই একত্র হতে পারে না। মানসিক ভারসাম্যহীন আয়েশা আক্তার বাদে ৩ বোন একত্র হলেই বিরাজমান সমস্যা সমাধা হয়ে যাবে।
প্রতিপক্ষ আঃ লতিফ মেম্বারের সাথে যোগোযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।