কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাবুল গাজী মেম্বার মিথ্যা মামলায় এক সপ্তাহ কারা বরণের পর মুক্তি পাওয়ায় মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার লোকজন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পেরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, পেরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হোসেন মজুমদার, পেরিয়া ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, আক্তার হোসেন, আবুল কালাম, যুবলীগ নেতা কামাল পাশা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উপজেলার মাধবপুর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে আবদুল মতিন ও মোতালেবের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তাদের মধ্যে এ নিয়ে বেশ কয়েক বার সংঘর্ষ, বাড়ীঘর ভাংচুর ও কয়েকটি মামলা হয়। তাদের দু’ ভাইয়ের বিরোধ নিরসনে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল গাজীর উদ্যোগে শালিস বৈঠকে মোতালেবের দোষ প্রমানিত হওয়ায় তার জরিমানা ও মুচলেকা নেয়া হয়। এ নিয়ে মোতালেব বাবুল গাজী মেম্বারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ৭ জুলাই মঙ্গলবার মতিন ও মোতালেব পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় খবর পেয়ে সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে বাবুল গাজী মেম্বার উপস্থিত হলে মোতালেব, তার ছেলে আরমান, মেয়ে মুন্নি, মুক্তা, ভাগিনা বেলাল ও দেলোয়ার’সহ ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী মেম্বারের উপর হামলা চালায়। পরে তাকে বাঁচাতে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা চালায়। হামলায় ইউপি সদস্য বাবুল গাজী, তার পিতা বজলুর রহমান, ভাই সোহরাব ও সাহাব উদ্দিন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। গুরুতর আহত সোহরাবকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় আত্ম রক্ষার্থে বাবুল গাজী মেম্বার একটি লাঠি হাতে নেয়, এ ছবি ও ভিডিও মোতালেব থানা পুলিশকে দেখিয়ে বাবুল গাজী মেম্বারসহ তার পরিবারের লোকদের আসামি করে মামলা করে। এ সময় বাবুল গাজী মেম্বারের পক্ষে তার পিতা বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ বাবুল গাজী মেম্বারকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে গত মঙ্গলবার বাবুল গাজী জামিনে করা মুক্ত হন। তার কারা মুক্তিতে এলাকার শতশত লোক তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
এ ব্যাপারে বাবুল গাজী মেম্বার বলেন, বিভিন্ন সময়ে তাদের শালিস বৈঠক হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে ওই বৈঠক গুলোতে আমাকে উপস্থিত থেকে বিচার কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে। এ কারণে মোতালেব তাদের দু’ পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে আমি ও আমার পরিবারের লোকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আমি আমার এলাকার মানুষের দোয়ায় এক সাপ্তাহ পর জেল হাজত থেকে মুক্তি পেয়ে তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি।