‘সাহেদ মানে নির্মমতা জন্ম নিলো কিভাবে ভাই বলুনতো
থাকলে সাহস সত্যিকারের দেশপ্রেমের সাথে চলুনতো
আমরা সবাই ঐক্য হলে মন্ত্রী-এমপি-আমলা সব
দুর্নীতিকে বাদ দিয়ে ভাই হবেই হবে কামলা সব
কামলা হবে বাংলাদেশের মাটি মায়ের জন্য ভাই
আমরা সবাই এগিয়ে যাবো হবোই হবো ধন্য ভাই।’
আমার এই পদ্যটি অপ্রকাশিত, তাই তুলে ধরলাম কলামের শুরুতেই। কারণ একটাই, আপনাদের মাঝে দেশপ্রেম জাগাতে চাই। আমাদের দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পশুদের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ছলাকলা। বাড়ছে ছাত্র-যুব-জনতার কষ্টসময়; দীর্ঘায়িত হচ্ছে দীর্ঘশ্বাস। বেকারত্ব বাড়ছে, ব্যবসাহারা হচ্ছে কোটি কোটি সানুষ। সারাদেশে শুরু হয়েছে হতাশা থেকে আত্মহত্যা। নারী-পুরুষ সবাই-ই অর্থনৈতিক কারণে নির্মম সময়ের দিকে এগিয়ে চলছে। এরইমধ্যে দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রী-আমলাদের সহায়তায় শুধু করোনার সনদ নয়, মাস্ক ও পিপিই সরবরাহ নিয়েও বড় ধরনের দুর্নীতি করেছেন বহুমাত্রিক জালিয়াতিতে আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। তার চেয়েও কম যাননি ডা. সাবরিনা-আরিফ দম্পতি। করোনার ক্রান্তিকালে এই তিন চক্র জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। করোনা পরীক্ষার নকল সনদের পাশাপাশি তারা নকল মাস্ক ও পিপিই সরবরাহ করে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। এর মাধ্যমে বিপন্ন করে তুলেছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ হাজার হাজার মানুষের জীবন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব, উপসচিব আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যোগ সাজশে সাহেদ একটি প্রতিষ্ঠান খুলে সরকারি অনুমতি নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের মাস্ক-পিপিই সরবরাহ করেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই, যা শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। দুর্নীতির রাস্তা ধরে এগিয়ে চলতে চলতে প্রায় একইভাবে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী চিকিৎসক হিসেবে তার ফেইসভ্যালু ও পরিচিতিকে পুঁজি করে প্রতারণা করেছেন বিভিন্ন মহলে। ভুক্তভোগীরা এখন তাদের বিচার চেয়ে ডিবি ও র্যাব কার্যালয়ে ছুটছেন। সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল যখন করোনার নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই নকল রিপোর্ট দিয়েছে, তখন তারাই আবার একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে নকল মাস্ক ও পিপিই সরবরাহ করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চরিত্রই এখন এমন হয়েছে যে, যখন নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় একের পর এক দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি ও আমলাদেরকে রক্ষা করার জন্য পাপিয়া-সাবরিনা-সাহেদ-স¤্রাটদেরকে জবাই দিচ্ছেন, তখন বলছেন- আমাদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। অথচ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল মন্ত্রী-এমপিদের সাথে সেলফি-ছবি দেখা যায় অনলাইনের কল্যাণে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গণ বা বঙ্গভবন পর্যন্ত তারা কিভাবে পৌছেছিলো? কারা তাদেরকে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতো? কত টাকার বিনিময়ে এই ধান্দাবাজরা রাজনৈতিক-প্রশাসনিক বিভিন্ন স্থানে আসন গেড়ে বসেছিলো? এমন প্রশ্ন কিন্তু কেবল আমার নয়; আমাদের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের। কিন্তু কতদিন এভাবে বাংলাদেশকে খাদের কিনারে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে বলতে পারেন কেউ?
আজ যখন তারা গ্রেফতার হয়েছে, তখন বলা হচ্ছে- সাহেদের মতোই একই কায়দায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দিয়েছে ডা. সাবরিনা ও আরিফ দম্পতি। তারাও হাজার হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ না করেই টেবিলে বসে করোনার সনদ তৈরি করে বিক্রি করেছে। একপর্যায়ে তারা করোনার অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রী মাস্ক, পিপিই ও স্যানিটাইজারও সরকারকে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এটা ঠিকই হয়েছে, চলছে সারাদেশে স্বাস্থ্যখাতের চরম ধ্বংসযজ্ঞ।
এখন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- ‘ডা. সাবরিনা চিকিৎসক হিসেবে তার ফেইসভ্যালু এবং পরিচিতিকে পুঁজি করে প্রতারণা করেছেন। তিনি সরকারি সংস্থার কাজ করছিলেন। তদন্তে তার যেসব অনিয়মের তথ্য আমরা পাব, সেগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) জানাব। তারা অনিয়ম বিবেচনা করবে যে, সেগুলো ডিপার্টমেন্টাল অফেন্স নাকি ক্রিমিনাল অফেন্স। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব। সাহেদ আলবার্ট গ্লোবাল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে সরকারিভাবে অনুমতি নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের মাস্ক-পিপিই সরবরাহ করতেন। অথচ প্রতিষ্ঠানটির কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি করোনাকালে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ফেইসবুকে পেজ খুলেই পিপিই সরবরাহের সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে পিপিই সরবরাহ করছিলেন। এছাড়া তার ঠিকাদারি ব্যবসা ও প্রতারণার বিষয়ে আমরা আরও তথ্য পেয়েছি। উত্তরাসহ কয়েকটি থানায় এ সংক্রান্ত পাঁচটি মামলাও হয়েছে। সাহেদের মামলাটির তদন্তভার ডিবি থেকে র্যাবে গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয়টি সম্পন্ন হয়ে গেলেই র্যাব দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। সাহেদকে গ্রেপ্তারের আগে পরের বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। বিশেষ করে সাহেদ সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় আশ্রয় প্রশ্রয় ও সহয়তাকারীদেরও চিহ্নিত ও আটক করা হবে। সাহেদ দেশের তিনটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নেন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্ত। সেখানে দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়াটা নিরাপদ মনে হয়েছে তার কাছে। নিজ এলাকার চিরচেনা সীমান্তকেই তিনি বেছে নেন। এজন্য একজন দালালের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তিও করেছিলেন। যদিও তা কোনো কাজে আসেনি। ঘটনার পর থেকেই পিছু লেগে থাকা র্যাবের জালে তাকে ধরা পড়তে হয়। যারাই সাহেদকে পালাতে সাহায্য করেছিল তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিশেষ করে দেবহাটার নৌকা পাড়ি দেওয়ার সহায়তাকারী বাচ্চু দালালকে ধরার জন্য র্যাব সক্রিয় রয়েছে।’
এখন আমার কথা হলো- এভাবে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি কি কেবল সাহেদ বা সাবরিনাই করেছে? না, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি চলছে সারাদেশের প্রায় সকল সরকারী- বেসরকারী হাসপাতালে। চলছে দুর্নীতি স্বাস্থ্য খাতের সকল প্রতিষ্ঠানে, এমনকি সেই দুর্নীতি নেমে এসেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েমন বিএমএ ভবন থেকে শুরু করে একদিকে হাইকোর্ট অন্যদিকে পুরানা পল্টনের ফুটপাতে। অথচ র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম কেবলমাত্র সাহেদকে গ্রেফতার করেই রণেভঙ্গ দিলেন! তাঁর উচিৎ আরো কমপক্ষে শতাধিক হাসপাতালে অভিযান করা। আর সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিৎ সারোয়ার আলমের মত কমপক্ষে ২৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট। যারা রাজনৈতিক পাষন্ডদের রাজনৈতিক ক্ষমতার উর্ধ্বে থেকে করে যাবে বাংলাদেশকে শোধরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা। এই চেষ্টায় অগ্রসর না হলে দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব রুখতে সরকারের নানা পদক্ষেপে স্থবির হয়ে যাওয়া উন্নয়ন কর্মকান্ড কেবল আঙ্গুল ফুলে কলা গাছই করবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কমপক্ষে আরো লাখ খানেক পশুকে। যাদের পূর্বসূরীদের কারণে অর্থনীতিতেও এসেছে চরম মন্দাভাব। শুধুমাত্র দুর্নীতির কারণেই আহজ জাতি হতাশায় জর্জরিত, শুধু দুর্নীতির কারণেই রাজস্ব আয়ে ব্যাপক ভাটা পড়লেও সরকারের ব্যয় কমেনি। আর এখন এ অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় নানা পন্থা খুঁজছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ সংকটে কৃচ্ছ্র সাধনের নীতিতে যেতে বাধ্য হচ্ছে সরকার; মানে আবারো জনগনের কাঁধে চাপানো হবে ভয়ংকর সব বোঝা। এর অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হবে। তথাকথিত উন্নয়নের সূত্রতায় অবশ্য গত অর্থবছরেও সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা এডিপি থেকে নেওয়া হয়েছিল। তবে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা রেল লিঙ্কের মতো মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে অর্থ সংকট হবে বলে আমি মনে করছি। যে সংকট কাটানো কেবল কঠিনই হবে না, চরমভাবে বিপর্যয় টেনে নিয়ে আসবে বাংলাদেশে।
একটু গভীরভাবে তাকালে দেখবো যে, গত অর্থবছরের মত করে এবারও উন্নয়ন প্রকল্পকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিন ভাগে বিভক্ত করে সার্কুলার দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন মোট প্রকল্পের ৪০ শতাংশ উচ্চ অগ্রাধিকারে রাখা হয়েছে। মধ্য ও নিম্ন অগ্রাধিকার তালিকায় স্থান পেয়েছে ৩০ শতাংশ করে প্রকল্প। এ হিসেবে নিম্ন অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে ৪৭৯টি প্রকল্প। এসব প্রকল্পে বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে ব্যয় হবে না। এছাড়া মধ্য অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পেও অর্থ ব্যয়ে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হবে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির আগে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে নিজেরদের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প তিন ভাগে ভাগ কওে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা ছিল। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতি উত্তরণে ব্যর্থতারপরও নির্লজ্জের মত বলছে- করোনার কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। সারা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিক সংকট রয়েছে এটা বলতে কোনো সংকোচ নেই। এজন্য সরকার কৃচ্ছ্র সাধন নীতির দিকে যাচ্ছে। একই সাথে কোন কোন মন্ত্রী বলছেন- উন্নয়নের প্রয়োজন আছে, তার আগে মানুষের জীবন। এজন্য তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ পরে করা হবে। এই টাকা করোনা মোকাবিলায় ব্যয় করার চিন্তা করা হচ্ছে। গেল অর্থবছরেও এটা করা হয়েছিল, চলতি অর্থবছরেও এর ধারাবাহিকতা রাখা হচ্ছে।
দেশকে যে ভোবে পারছে নিজের উন্নয়নের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহহার করছে। তারই সূত্রতায় আজ স¤্রাট-সাহেদ-সাবরিনা-পায়িাদের মত দু-একজনকে জবাই দিতে বাধ্য হচ্ছে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সরকার দেখাবে বলে। সেই সাথে উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ব্যয় নিয়ে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এই পরিপত্র অনুসারে আরএডিপিতে চলমান প্রকল্পগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা রেল লিঙ্কের মতো মেগা প্রকল্পগুলো অর্থ ব্যয় করতে পারবে। এদের রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায়। তবে ‘নিম্ন অগ্রাধিকার’ উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যৌক্তিক কারণে ব্যয় করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। আর ‘মধ্যম অগ্রাধিকার’ প্রকল্পের যেসব খাতে না করলেই নয় এমন খাতে নিজ বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে। করোনায় অর্থ সংকটে রয়েছে সরকার। বাধ্য হয়ে কৃচ্ছ্র সাধন নীতির দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি গাড়ি ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অহেতুক অর্থ ব্যয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ নিয়েছেন। এই সতর্ক করার কাজটি করতে হবে সবাইকে। কেউ দুর্নীতি করেও মন্ত্রী থাকবে, এটা প্রত্যাশা করি না কখনো। চাই না এভাবে বন্যা-করোনায় অভূক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়বে একদিকে, অন্যদিকে কোটি কোচিট টাকা লোপাট করে সুইজ ব্যাংকে রাখবে, বিদেশ পাচার করবে স্বয়ং মন্ত্রী-এমপি-আমলারা। এদেরকে থামানোর সময় এখন। এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশের মাটির জন্য-মায়ের জন্য নির্মল ভালোবাসা সহ...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি